
নিউজ ডেস্ক : বাজারে মিলছে না নতুন দামের চিনি। উল্টো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনি। তারপরও মিলছে না সব দোকানে। শনিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও মোহাম্মদপুরের পাইকারি কৃষি মার্কেট ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না চিনির দাম। প্রতিকেজি খোলা ও প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। অথচ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে খোলা চিনি ১০৪ আর প্যাকেট চিনির দাম ১০৯ টাকা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যা আজ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
ক্রেতারা জানান, বাজারে কমেনি চিনির দাম। আবার অনেক দোকানেই মিলছে না চিনি। আর বিক্রেতাদের দাবি, নতুন দামে চিনি দিচ্ছে না মিলমালিকরা। ফলে আগের দামে চিনি কেনায় বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
নতুন দামে কেন চিনি বিক্রি হচ্ছে না এমন প্রশ্নে রশিদ দেখিয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ৫০ কেজির বস্তার দাম পড়ছে ৫ হাজার ৪৮০ টাকা থেকে ৫ হাজার ৫৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনি কিনতে হচ্ছে ১০৯ থেকে ১১০ টাকায়।
আর বাড়তি দরে চিনি বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন ডিলাররাও। তারা বলেন, কোম্পানিগুলো সরকারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করছে না। এতে পাইকারি পর্যায়ে কমানো সম্ভব হচ্ছে না চিনির দাম।
এদিকে বাজারে সরকারি নির্দেশনা কার্যকরে মিল পর্যায়ে তদারকির দাবি জানিয়েছেন ভোক্তা ও বিক্রেতারা।
এর আগে গত সাত মাসে পাঁচবার চিনির দাম বেঁধে দিয়েও বাজারে তা কার্যকর করা যায়নি। আর বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে রোজার আগেই অপরিশোধিত চিনিতে ৭ টাকা ও পরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১০ টাকা শুল্কছাড়ও দিয়েছিল সরকার। তবু ফেরেনি বাজারের চিত্র।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: