নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাংসদ মির্জা আজমের জামালপুর শহরের বাড়ী আজ ছাইয়ের স্তূপে পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর শহরের বকুলতলাস্থ বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার বাড়ী থেকে যে যেভাবে পারছে আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টেলিভিশন, এসি, সোফাসেট সবকিছু লুটপাট করছে। এসময় লুটপাটকারীদের বলতে শুনা যায়, এই সম্পদ, জিনিসপত্র আমাদের টাকায় কেনা। তাই সুযোগ পেয়েছি নিয়ে যাচ্ছি। মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায় পুরো বাড়ীতে ছাই আর ছাই। ছাইয়ের স্তূপ থেকে ধুয়া উঠছে এবং পুড়া গন্ধ বের হচ্ছে।
এসময় শতশত জনতাকে মির্জা আজমের পুড়ানো বাড়ী দেখতে আসতে দেখা গেছে। তারা কেউ ছবি তুলছে কেউ ভিডিও করছে।
উৎসুক জনতা জানান, জামালপুরের গডফাদারের পতন দেখলাম। বেশি দাম্ভিকতা, ক্ষমতা দেখানো ভাল না। জামালপুরে চেলাপেলা নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব। ছাত্র-জনতা টেনেহিঁচড়ে নামিয়েছে, আগুন দিয়ে তাদের সাম্রাজ্য পুরিয়ে দিয়েছে।
তারা আরও বলেন, আজকে মানুষের ভোটাধিকার ছিলনা, ১৬ বছর যাবৎ মানুস ভোট দিতে পারে না। সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারতো না। উন্নায়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচার করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি এগুলি মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ছিল। আজ এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ গঠতে দেখলাম।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বলেন, জামালপুরের মানুষ কোন বিষয়ে কথা বলতে পারতো না। তার মত করে অবকাঠামো তৈরি করতো। জামালপুরের প্রধান নদীগুলি তার কারনে আজ ধ্বংস প্রাপ্ত। তার কথা এবং ইশারায় জামালপুরে সবকিছু চলতো। জেলার দেবতা, লর্ড হয়ে উঠেছিল। আজ তার করুন পতন দেখলাম। জেলার মানুষ এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল।
জানা যায়, মির্জা আজম ১৯৯১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত জামালপুর-৩ আসন থেকে পরপর সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, জাতীয় সংসদের হুইপ, সরকারের বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য, বর্তমানে সাংগঠনিক সম্পাদক।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: