
বিজয় কর রতন, মিঠামইন( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ঈদের ছুটি শেষে নীজ নীজ কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। যাএীদের উপছে পরা ভীড় শান্তি পুর ও বালিখোলা ফেরি দুটিতে।একদিকে যাএীর ছাপ, অন্যদিকে হাওরের অর্ধেক ধান দেশের বিভিন্ন জায়গায় বস্তা ভর্তি করে ট্রাক দিয়ে এ ফেরিতে নিয়ে থাকে।
কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদী এলাকার প্রায় ৫০ ভাগ কৃষক এ হাওরে এসে বোরো ধানের আবাদ করে থাকে।আবহাওয়া খারাপ হওয়ার আভাসে কৃষকরা তরিগরি করে আধা পাঁকা ধান কেটে বস্তা ভরে ট্রাক দিয়ে নীজ নীজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। এ দুটি ফেরি ছাড়া ধান নেওয়ার বিকল্প কোনো রাস্তা নেই।এসকল ধান কিশোরগঞ্জ সহ ৭ টি জেলায় এ ফেরি পাড় হয়ে নিয়ে যেতে হয়।সরজমিনে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে ফেরি দুটিতে গেলে ফেরিতে প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা যায়।যাএীরাও গাড়ী চালকরা দীর্ঘ লাইন নিয়ে বসে আছে। প্রতিটি ফেরির দুপাশে ধান বোঝায় গাড়ী সারি বদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে রয়েছে।
একসময় হাওর অঞ্চলে কোনো সড়ক ছিলনা। তখন অস্হায়ী কৃষকরা হাওরে ঘর বেধে ধান তুলে পরবর্তীতে পানি আসলে নৌকা নিয়ে নিয়ে যেতে হত।এখন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সাহেব অলওয়েদার রাস্তা ও সাবমাসের্বল রাস্তা নির্মাণ করায় এ কৃষকরা জমি থেকে মেশিন দিয়ে ধান ছুড়ে বস্তায় ভরে জায়গা থেকে ট্রাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে।এজন্য ফেরিতে গাড়ির ছাপ রয়েছে।
এছাড়াও সরকারি নির্ধারিত টোলের চেয়ে তিনগুণ ভাড়া নিচ্ছে বলে গাড়ির চালকরা অভিযোগ করেছেন।এমন অভিযোগ অসংখ্য যাএীও পরিবহন মালিকদের।ধান বোঝাই ট্রাক চালক মোজাম্মেল মিয়া জানান,নির্ধারিত টোলের তিনটি ট্রাকে ১৫০০ টাকা বেশি নিয়েছেন।
টোলের তালিকার কথা বললে ফেরির ইজারাদাররা তা মানতে নারাজ। অষ্টগ্রাম থেকে একটি পরিবার ঈদ শেষে মাইক্রোবাস নিয়ে ফেরিতে উঠলে ইজারাদার চালকের নিকট ১ হাজার টাকা দাবি করেন।চালক টাকার রশিদ চাইতে গেলে তার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয় পরে ৭০০ টাকা দিয়ে তিনি ফেরি পাড় হন।সি এন জি,অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ি প্রত্যেক যানবাহন থেকেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করছেন।
ফেরিতে অভিযোগের পাহাড় দীর্ঘ দিন যাবৎ এঅনিয়ম চলে আসছে কর্তৃপক্ষ নিরব।ঈদের বকশিশের কথা বলে অনেক যাএীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। করিমগঞ্জ থানার ওসি সামছুল আলম জানান,ঈদ পরবর্তী ভীড় হচ্ছে এটা সত্য, তবে কোনো অনিয়ম হলে ব্যাবস্হা নেওয়া হবে। করিমগঞ্জের ইউ এন ও পলাশ চন্দ্র বসু জানান, ঘাটে পুলিশ ও সেচ্ছাসেবী কর্মীরা রয়েছে। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবে। ভাড়া টোলের অধিক নেওয়া যাবে না, প্রমাণ পেলে ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।
সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, বৈশাখ মাসে ঈদ ও ধান পাড়াপার একসাথে চলছে কিছুটা ভোগান্তি হবে।তবে টোলের চার্টের অতিরিক্ত টোল নেওয়া যাবে না।বিষয়টি জরুরি ভিওিতে দেখবেন বলে জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: