• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

যেকোনো আঘাত আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করব: শেখ হাসিনা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৩২ পিএম
যেকোনো আঘাত সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক : দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আমরা কাজ করে যাব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকশেষে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক প্রতিবেশীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদর্শ হতে পারে। আমাদের বন্ধুত্বের ওপর যেকোনো প্রকার আঘাত আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করব। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
এ সময় কুশিয়ারার পানিবণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুই দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করে যাব।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত পায়ে পা মিলিয়ে চলবে উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আগামী ২৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কট্টরবাদীদের আতঙ্ক। ৭১ এর আদর্শ ধরে রাখতে হলে, ওই কট্টরবাদীদের প্রতিহত করা জরুরি, যারা এই সম্পর্কে আঘাত করতে চায়।

এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

দিনের কর্মসূচির শুরুতে সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলে তাকে স্বাগত জানান নরেন্দ্র মোদি। দুই প্রধানমন্ত্রী করমর্দন করেন। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে নয়াদিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। এরপর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।  

রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, এটা আমার জন্য আনন্দের। বিশেষত আমরা সবসময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করি। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি।

এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখড় এবং পরে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে কথা রয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ও নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন। এরইমধ্যে বেশকিছু বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরিব নওয়াজ দরগাহ শরীফ, আজমির (আজমির শরীফ দরগাহ) জিয়ারত করবেন প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image