• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:১৪ পিএম
ভলকার
ভকার তুর্ক

নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার এই আহ্বান জানান সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানির পাশাপাশি অনলাইনে সমালোচকদের কণ্ঠ রোধ করতে এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ জানান তিনি।

সেই সাথে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ডিজিটাল আইনের ধারাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার আহ্বান জানান তুর্ক। এই সংশোধনী আনতে সহযোগিতার লক্ষ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর থেকে বাংলাদেশকে বিস্তারিত পরামর্শ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন এবং অনলাইনে সমালোচকদের কণ্ঠরোধের জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন যেভাবে প্রয়োগ হচ্ছে তাতে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমি আবারও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এ আইনের প্রয়োগ স্থগিত করতে অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী এ আইনের প্রয়োগ ও সংস্কারের আহ্বান জানাই। জাতিসংঘ এরই মধ্যে আইনটি পুনর্মূল্যায়ন বা সংশোধনে সহায়তার জন্য বিস্তারিত প্রযুক্তিগত মতামত দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই আইনে দুই হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। সবশেষ ২৯ মার্চ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দৈনিক সংবাদপত্র প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান এর শিকার হয়েছেন। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করার পাশাপাশি তার ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এমনকি নাকচ করা হয়েছে তার জামিনের আবেদনও। এছাড়া, এ আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও একজন ফটো সাংবাদিককেও। বাংলাদেশে জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্ট সংকট নিয়ে একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়।

ভলকার তুর্ক এসময় আরও বলেন, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে পরিতোষ সরকার নামের এক তরুণকে এই আইনের আওতায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে ধারাগুলো মানুষের মতপ্রকাশের অধিকার ক্ষুণ্ন করে সেগুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে উল্লেখ করে ভলকার টুর্ক বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তারের ফলে এখন স্পষ্ট যে, তাদের প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়।

বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করতে একটি স্বাধীন বিচারিক প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি

আরো পড়ুন

banner image
banner image