নিউজ ডেস্ক: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে হামাস। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে। বড় ধরনের এই হামলার পর যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে পাল্টা অভিযানের পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। সশস্ত্র বাহিনী বলছে, হামাসকে এ ঘটনার দায় এবং পরিণতি বহন করতে হবে।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুধু রকেট হামলাই নয়, হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশও করেছে। হামলায় এক ইসরায়েলি নারীও নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ বলেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।’
হামাস-ইসরায়েলের শনিবারের সংঘর্ষে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে অন্তত ১৬০ জন নিহত এবং আরও ১ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মিডিয়া।
এই সংখ্যার মধ্যে সম্ভবত যারা বিমান হামলায় এবং দক্ষিণ ইসরায়েলে সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল তারা অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। এর মধ্যে ৪০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
হামলার পর এক ভিডিও বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শনিবার ভোরে হামাসের আকস্মিক হামলার পর দেশ ‘যুদ্ধের মধ্যে’ রয়েছে। ইসরায়েলের নাগরিকরা, আমরা যুদ্ধে আছি। কোনো অপারেশনে নয়, রাউন্ডে নয়, যুদ্ধে।’
হামাস দাবি করেছে, তারা গাজা থেকে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই হাজার ২০০ রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: