
নিউজ ডেস্ক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা বাড়ছে । পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবি এ ব্যাপারে বেশ তৎপর । নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এ্যানীকে তাঁর বাড়ি থেকে রাতে ডাকাত যে রকম করে, সেভাবে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার করেছে । তাঁকে যে পদ্ধতিতে গ্রেপ্তার করেছে, তাতে এটাই প্রমাণ হয় যে এ সরকার ঠিক আগের মতো বিএনপির সক্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে একতরফা নির্বাচন করতে চায় ।
সূত্র জানায়, যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করা হচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলছে, সাহস জোগাচ্ছে দলের হাইকমান্ড ।
নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বিরোধী দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা- হামলা, নির্যাতন বাড়ছে । তাদের চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনো হাঙ্গামা না হলেও নেতাকর্মী ঘরে থাকতে পারছে না । কোনো ঘটনা ছাড়াই গত আড়াই মাসে সারাদেশে ৩৪৩ মামলা হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে । এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩ হাজার ২৭০ জনকে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ হাজার ২৫০ জন । একই সময়ে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলায় প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন ।
ওয়ান- ইলেভেনে দায়ের করা মামলায় গত ৩০ মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের রায় বহাল রাখেন উচ্চ আদালত । সেই আদেশে টুকুর বিরুদ্ধে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে । ওই রায়ের পর আত্মসমর্পণ করেন আমান উল্লাহ আমান । এখন তিনি কারাগারে । অন্যদিকে মামলার রায় ঘোষণার আগে থেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন টুকু । এখনও তিনি চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজন । এর আগে ভিন্ন ভিন্ন মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপি সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদকে তিন বছর, যুবদল নেতা ইসহাক সরকারকে ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।
পুরোনো রাজনৈতিক মামলাকে সক্রিয় করে দ্রুতগতিতে নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার । অনেক মামলায় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ মধ্যম ও তৃণমূল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাজার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত । এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২০১৫ সালের একটি মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জোট নেতা আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহপ্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীমসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন । গত সোমবার মেট্রোপলিটনের আরেক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২০১২ সালের একটি মামলায় রায় ঘোষণা করেন । এতেও প্রত্যেককে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: