
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভিয়াচেস্লাভ ভলোদিন বলেছেন, ন্যাটো জানুয়ারিতে রাশিয়ায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল।
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে হামলার জন্য ন্যাটো ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছিল এবং পুতিনের 'বিশেষ সামরিক অভিযান' একটা বড় ট্র্যাজেডি আটকে দিয়েছে।
ভিয়াচেস্লাভ ভলোদিন আরও বলেন, ন্যাটো আমাদের দেশের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল।
ইউক্রেনের জনগণের স্বার্থ বা নিরাপত্তা ওয়াশিংটনের জন্য কোনো অর্থ বহন করে না এবং কিয়েভের জন্য জাতীয়তাবাদ প্রধান মতাদর্শ হয়ে উঠেছে, বলেন তিনি।
চলমান দ্বন্দ্বে ক্রমেই মানবিক বিপর্যয়ের করুণ চিত্র প্রকট হয়ে উঠছে ইউক্রেনে। খারকিভ শহরের হলি ট্রিনিটি চার্চের সামনে খাবারের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন এখন প্রতিদিনের চিত্র। এক বেলা খাবার পেতে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে অনেকে ভিড় করছেন ওই চার্চের সামনে। পুরো শহরে গুটি কয়েক খাবারের দোকান খোলা থাকলেও অর্থের অভাবে তা কেনার সাধ্য নেই সাধারণ মানুষের। অনেকেই শহর ছেড়ে গেলেও, জন্মস্থানের মায়া ছাড়তে না পারায় অনেকে আবার থেকে গেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই নগরীতে।
সামরিক অভিযান শুরুর দুই সপ্তাহ পর থেকেই খারকিভের বাসিন্দাদের খাবার দিয়ে যাচ্ছেন চার্চের স্বেচ্ছাসেবীরা। নিজেরাই এসব খাবার সংগ্রহ করে বিতরণ করছেন। প্রায়ই এখান থেকে খাবার পাঠিয়ে দেয়া হয় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের কাছেও।
হলি ট্রিনিটি চার্চের ধর্মযাজক ইলিয়া গেরাসিম বলেন, শহরের বাসিন্দাদের খাবারসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যুদ্ধের শুরু থেকেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে। তবে আমাদের আরও বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন।
শহরের পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত। তবে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় রাশিয়া থেকে প্রতিনিয়ত রকেট হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ খারকিভের বাসিন্দাদের।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: