
নিউজ ডেস্ক: ধনী-গরিব সব দেশের অর্থনীতিতেই করোনার প্রভাব পড়েছে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো ধুঁকছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে বাংলাদেশ সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। এই হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ৫৩ দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাইনাসে রয়েছে।
প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় সফল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের মিল রয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৮০ শতাংশ। এর নেপথ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক খাত। শুরুতে করোনার টিকাদানে অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল না এ খাতের কর্মীরা। তবে এখন তাদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ খাতের ৪০ লাখ কর্মী টিকায় অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। ঈদের আগে গাজীপুরে চারটি কারখানায় এ টিকাদান কার্যক্রম শুরুও হয়েছে। আজ সোমবার থেকে বড় পরিসরে অন্যান্য পোশাক কারখানায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ নেতারা জানিয়েছেন, তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য সমপরিমাণ টিকা সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। এক মাস পর এসব কর্মীকে দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকার প্রয়োজন হবে। তখনও তারা টিকা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: