ডেস্ক রিপোর্টার: ভোলার চরফ্যাশনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নীলকমল ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ মে) রাতে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার ও সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহদের মধ্যে ৩০ জন চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন সন্ধ্যার পর উভয়পক্ষ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। এ সময় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া নুর আলম নামের একজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন অভিযোগ করেন, দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মুনসির হাট বাজারে তার ব্যক্তিগত অফিসে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। এ সময় বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারে উপস্থিতে তার লোকজন তার অফিস লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের ওপর হামলা চালায়। ব্যক্তিগত অফিস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
তবে বর্তমান চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের কর্মীরা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আলমগীর হাওলাদার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে লিখন গ্রুপের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাদের ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে এ দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
দুলালহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরাদ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: