মোহাম্মদ রুবেল
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে পাঁচ দফা দাবি জানান অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ।
অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বলেন,অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতির মধ্যদিয়ে আমাদেরকে ন্যয়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন,কম যোগ্য প্রার্থীদের কোটায় নিয়োগ দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। এর একটি সমাধান হওয়া দরকার। জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে শিক্ষক নিয়োগে ৮০ শতাংশ কোটা প্রয়োগ করা হচ্ছে।
সংগঠনের এ আহ্বায়ক আরও বলেন,প্রচলিত কোটা পদ্ধতির মধ্যদিয়ে প্রতিবন্ধিদের মত অনগ্রসর শ্রেণীকে বঞ্চিত করে সমাজের অগ্রসর শ্রেণীকে কোটা সুবিধা প্রহসন ছাড়া কিছু নয়।
সংগঠনের নেতারা বলেন,
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফলে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে বঞ্চিত করে চাকরিজীবীর সন্তানদের বৈষম্যমূলক কোটা সুবিধা দিয়ে পুনরায় চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ৮ ধারায় মনগড়া নিয়মে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য বা পারিবারিক, ২০ শতাংশ পুরুষ ও সামগ্রিকভাবে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান কোটার অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা বলেন,পোষ্য কোটায় রাজনীতিকদের আগ্রহ বেশি। এটা বাতিল করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন,বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি যা সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে এগিয়ে নেওয়ার সাংবিধানিক নির্দেশনার অবজ্ঞা করা। এর ফলে, কৃষক, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের বঞ্চিত করেছে সরকার।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের মার্চে রিট করলে আদালত বেকারদের পক্ষে রুল জারি করেন। কিন্তু জারি করা রুলের বিপরীতে শুনানি করতে গড়িমসি করছেন আদালত। এসুযোগে ফলাফল প্রকাশ করে ফেলেছে অধিদপ্তর। ফলে অযোগ্যরাই শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করছে।এতে বঞ্চিত হয়েছে সাধারণের চাকরি প্রত্যাশীরা। তাই আমরা বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি জানাচ্ছি।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবিগুলো হলো—প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয় সম্পন্ন করে এক ও অভিন্ন কাট মার্কে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা; কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা; শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করে নতুন কোটামুক্ত পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ করা; প্রতিবন্ধীদের কোটা সংরক্ষণ করে পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করা এবং নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকার পাশাপাশি নম্বর প্রকাশ করা। কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করা এবং নিয়োগ পরীক্ষায় মেধা তালিকার পাশাপাশি নম্বর প্রকাশ করা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এমআর
আপনার মতামত লিখুন: