
নিউজ ডেস্ক: নাগরিকদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ায় অভিযোগের মধ্যেই চতুর্থবারের মতো আজ পালিত হচ্ছে ভোটার দিবস। এর আয়োজক নির্বাচন কমিশন, যে জাতীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের অনাস্থাও এখন ব্যাপক আলোচিত। দিবসটি পালনে এবারের প্রতিপাদ্য 'মুজিববর্ষের অঙ্গীকার-রক্ষা করব ভোটাধিকার'।
বিগত দুটি সংসদ নির্বাচন ও কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচন ভোটারের ব্যাপক অনুপস্থিতি, হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ সহিংসতা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার প্রবণতা দ্বারা চিহ্নিত। সদ্য নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেই একাধিকবার বলেছেন, কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ভোটার তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধ অনেকটাই মিটে গেছে। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এক সময় বছরে একবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি প্রতিনিধি পাঠাতো কমিশন। এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ নামে পৃথক একটি উইং কাজ করছে। এই বিভাগে ৭১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন ঢাকা অফিসে। এর বাইরে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন কর্মকর্তা এই কাজে প্রতিনিয়ত যুক্ত থাকছেন। ১৮ বছরের নিচে যারা রয়েছেন এমন নাগরিকদেরও তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি করছেন তারা। ছবিসহ ভোটার তালিকার পথ ধরেই তৈরি হয় এই পরিচয়পত্র। কিন্তু সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন প্রতিবন্ধকতা বেড়েছে।
জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন সমকালকে বলেন, বিগত দুই কমিশন যেভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে তাতে শুদ্ধ ভোটার তালিকা এখন আর মুখ্য বিষয় নেই। ভোটার দিবস পালনের উদ্দেশ্য পরিস্কার নয়- মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদেশের মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী। ভোটার হতেও আগ্রহী। কিন্তু স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার পরিবেশ নিশ্চিত না করে পয়সা খরচ করে ভোটার দিবস পালন জনগণের সঙ্গে এক ধরনের তামাশা। কমিশনের উচিত আগে ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা। জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে-এসব বিষয়ে কমিশনকে মনোযোগী হতে হবে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রশাসন ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: