• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ৩০ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আখাউড়ায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, মানছেনা নিয়মনীতি 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৫৮ পিএম
দোকানে বিক্রয় করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার
গ্যাস সিলিন্ডার

মোঃ জায়েদুর রহমান, আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নিয়ম না মেনে গড়ে উঠেছে যত্রতত্র এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। মানা হচ্ছে না সরকারি কোন নীতিমালা।
বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই যেখানে সেখানে বিক্রি করা হয় গ্যাস সিলিন্ডার।

পৌর শহরের পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে উপজেলার প্রতিটি গ্রামের বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করা হয় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। ঔষধের দোকান থেকে শুরু করে মুদি দোকান ও হার্ডওয়ারীর দোকানেও দিব্যি বিক্রিয় করা হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। আর যেসব দোকানে শুধু এলপি গ্যাস বিক্রয় করা হয় তারা সহ কেউ মানছে না সরকারি কোন নিয়ম নীতি। 

এইসব দোকানীরা দোকানের সামনে রাস্তায় এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে এই গ্যাস সিলিন্ডার। ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয় করলেও দোকান গুলিতে নেই কোন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। আর এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির মত যত দূর্ঘটনা।

গ্যাস বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় বেশির ভাগ বিক্রেতাই জানে না এলপি গ্যাস বিক্রয় করলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রেঁ জানা যায়, খুচরা ব্যবসার ক্ষেত্রে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়া ১০টি সিলিন্ডার রাখতে পারবে তবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে বাধ্যতামূলক। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাইসেন্সবিহীন এসব দোকানে বিক্রয় করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ এই এলপি গ্যাস সিলিন্ডার।

দিনদিন জ্বালানি হিসেবে বাসা-বাড়িসহ হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপি গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির কারনে শহর ও গ্রামের পাড়া মহল্লার দোকানে বিক্রয় করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার আর এতে করে বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় যমুনা, অমেরা, পেট্রোমেক্স, বসুন্ধরা ও বিএল সহ বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানির প্রস্তুুতকৃত সিলিন্ডারের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ্য থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে অনেক কোম্পানির সিলিন্ডারের গায়ে তা পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কথা হলে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ লিডার মোশারফ হোসেন বলেন, যত্রতত্রভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা বা বিক্রয় করা অতীব ঝুঁকিপূর্ণ। উপরের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিবছর আমরা সিলিন্ডারের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ চেক করে থাকি। এই বিষয় গুলি আমরা আমলে নিয়ে সবাই যেন অগ্নির্নিবাপণ ব্যবস্থা রাখে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / মোঃ জায়েদুর রহমান

আরো পড়ুন

banner image
banner image