
মোঃ নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ : বিগত একশত বছরেও যা ঘটেনি ময়মনসিংহে চব্বিশ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি নামক মহাদুর্যোগে কেড়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকার ফিসারির মাছ ও ফসলসহ অন্যান্য সম্পদ।
জানা গেছে, সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে অস্বাভাবিক অতিমাত্রায় ভয়াবহ বৃষ্টি নামক মহাদুর্যোগে ময়মনসিংহ জেলার হাজার হাজার চাষ করা মাছের খামারের তীর উপচে পানির স্রোতে কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে উন্মুক্ত নদী-নালা, খালবিলসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে। এতে ঋণ নিয়ে চাষ করা মাছের বহু খামারির মালিক মূলধনসহ সর্বস্ব হারিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম। এছাড়া আমন ধানের থোড় নিয়ে হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত। নদী-নালা, খালবিল পানিতে ভরাট হয়ে যাওয়া জলাবদ্ধ পানিও নামছে ধীর গতিতে। ছোট বড় বিল-ঝিলে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার করায় অধিকাংশ খাল বেদখলসহ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ। ফলে পানি আটকে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার।
এমতাবস্থায় অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সহযোগিতার ঢালি নিয়ে
দাঁড়নোর জন্য জেলার সকল ইউএনও দেরকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান।
জেলার ১৩টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমানের জরুরি ১১টি নির্দেশনাগুলো হলো- প্রত্যেক উপজেলায় দুর্যোগপ্রস্তুতি মূলক সভা করতে হবে, কন্ট্রোল রুম খুলে সার্বক্ষণিক তথ্য আপডেট রাখতে হবে, শুকনা খাবারের চাহিদা থাকলে জানাতে হবে, মাছের ঘের ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে গ্রহণ করে যাচাই করে জেলায় অবহিত করতে হবে, গবাদি পশুর নিরাপত্তায় প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে, প্রতি উপজেলায় কমপক্ষে একটি আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহার উপযোগী করে রাখতে হবে, নলকূপ ডুবে থাকলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এর সহায়তায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করতে হবে, উপজেলায় মেডিকেল টিম গঠন করে প্রস্তুত রাখতে হবে, বিদ্যুৎ এবং পল্লীবিদ্যুত এর সঞ্চালন লাইন থেকে দুর্ঘটনার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে এবং
জেলা পর্যায়ের সহায়তা প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিক জানাতে হবে।
উপজেলা পর্যায়ে থেকে প্রাপ্ত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য একত্রিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: