নিজস্ব প্রতিবেদক : 'দেশের আটারো কোটি মানুষ বাস করে। মানুষ বৃদ্ধি ও বিশ্বায়নের ফলে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগত ভাবেই৷ হিটিং, এয়ারকন্ডিশন, ভেন্টিলেশন এবং রেফ্রিজারেশনের ব্যবহারে এদেশে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এয়ারকন্ডিশন ও রেফ্রিজারেশন বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পে পরিনত হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ এই কর্মসংস্থানের সাথে জড়িত। সচেতনতা ও নিরাপত্তার মাধ্যমেই এই শিল্পকে আরও বেশি বিকশিত করতে হবে'।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানী রমনায় আইইবির কাউন্সিল হলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র যন্ত্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে 'মানব জাতির জন্য হিটিং, এয়ারকন্ডিশন, ভেন্টিলেশন এবং রেফ্রিজারেশনের ব্যবহার' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠানে বক্তারা এইসব কথা বলেন৷
সেমিনারে সম্মানী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর।
এসময় প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর বলেন, হিটিং, এয়ারকন্ডিশন, ভেন্টিলেশন এবং রেফ্রিজারেশনে দেশে আরও বেশি গবেষণা ও উন্নয়ন করতে হবে৷ দেশের বাজেটে ও এর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। গবেষণা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে আসতে হবে তবেই উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে।
আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস.এম. মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্যে এস.এম. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, হিটিং, এয়ারকন্ডিশন, ভেন্টিলেশন এবং রেফ্রিজারেশন বিষয়গুলো অত্যান্ত সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ প্রকৌশল ব্যবস্থায় সুনিয়ন্ত্রণ করলেই এই বিষয়গুলোতে যেকোন দূর্ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো: নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ এবং এলিট হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড প্রকৌশলী মো: নূর এ আলম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী মো: হাসমতুজ্জামান এবং সম্মানিত আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো: এহসান।
যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান বিন বাসারের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সম্পাদক প্রকৌশলী সুমন দাস এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রকৌশলী মাসুদ রানা।
এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবুল কালাম হাজারী, প্রকৌশলী অমিত কুমার চক্রবর্তী, আইইবি ঢাকা সেন্টারের সম্পাদক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সম্পাদক তানভীর মাহমুদুল হাসান, তড়িৎ কৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী ইমরান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহরের অধিকাংশ অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটে হিটিং, এয়ারকন্ডিশন, ভেন্টিলেশন এবং রেফ্রিজারেশনের ত্রুটির কারণে।এই ত্রুটির নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিল্ডিং কোড মেনে চললেই হয়৷ ত্রুটিরোধ করার জন্য নানা কোড ব্যবহার করা যায়। সচেতনতাই পারে এই হিটিং, এয়ারকন্ডিশন, ভেন্টিলেশন এবং রেফ্রিজারেশনের দূর্ঘটনা কমিয়ে আনতে৷
ঢাকানিউজ২৪.কম /