
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ যে কোনো সংঘাত আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়, সংঘাত নয় বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাস করে এবং শান্তির জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করবে।
আজ সোমবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শাহাদাতবরণকারী অফিসার ও সৈনিক পরিবারের সদস্য এবং আহতদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
যে কোনো সংঘাত আলোচনায় সমাধান চাই। অস্ত্র প্রতিযোগিতা আমরা চাই না। সংঘাতের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। বাংলাদেশ সবসময় শান্তিতে বিশ্বাস করে। শান্তির জন্য যা যা করার দরকার, বাংলাদেশ তাই করবে।বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা অতীতের চেয়ে এখন বেশি কঠিন। কারণ, অশুভ শক্তি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবনের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু বিশ্ব শান্তি রক্ষা নয়, নিজের দেশেও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করছি আমরা। ২০০৮ সালের পর থেকে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে এবং স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশই পারে একটি দেশকে উন্নয়নশীল করতে। আমরা চাই, ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সেজন্য স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবো। ফলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি বাহিনী ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশে হতদরিদ্র এখন ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমাদের লক্ষ্য- দেশে আর কোনো হতদরিদ্র থাকবে না। এটা আমরা দূর করবো। দেশে একটি মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস। অনুষ্ঠানের শুরুতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ ইন গ্লোবাল পিস’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। নিহত পাঁচজন শান্তিরক্ষীর পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। তিনি পাঁচজন আহত শান্তিক্ষীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এস
আপনার মতামত লিখুন: