শেরপুর প্রতিনিধি : গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারাদেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ডাকাতি করছে দুর্বৃত্তরা। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এসব ঘটনা ঠেকাতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নিয়ে সভা করেছে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় ঝিনাইগাতী মিলমালিক ও খাদ্যব্যবসায়ী সমিতির খোলা মাঠে উপজেলা বিএনপি এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, যদি শুধুমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন হতো, তাহলে সরকারের প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব সব ঠিক থাকতো। কিন্তু এ সরকারের পতন হয়েছে বিপ্লবের মাধ্যমে। এ বিপ্লব হয়েছে ছাত্র-জনতা এক হয়ে যাওয়ায়। বিপ্লবের মাধ্যমে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়। যে পরির্বতনের কারণে আজকে পুলিশ বাহিনী, থানা, ডিসি-ইউএনও অফিস ক্ষতিগ্রস্ত ও চেইন অব কমান্ড নাই, প্রশাসন ভেঙে গেছে। যে কারণে আমরা বিপদ ও আতঙ্কের মধ্যে আছি। এ আতঙ্ক ও বিপদ খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে লক্ষ্য করবেন, এ আপদকালীন সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ডাকাতি করছে দুর্বৃত্তরা। প্রশাসন না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে। এ মুর্হুতে আমাদের উচিৎ সাধারণের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ঝিনাইগাতীবাসী আতঙ্কিত হবেন না। আপনারা যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন সেজন্য আমার দলের নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে রাত জেগে পাহারা দিবে।
এ নেতা বলেন, এ উপজেলায় বিএনপি বা এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ যদি সংঘাত বা সহিংসতা করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণ চাই, নিরাপত্তা দিতে চাই।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ্ব শাহজাহান আকন্দ। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্নআহবায়ক মো. আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন নলকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রকুনুজ্জামান, বিএনপি নেতা শামীম মোস্তফা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. মাসুম বিল্লাহ, ছাত্রদলের আহবায়ক আরেফিন সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্নআহবায়ক মেহেদী হাসান বিপ্লব প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: