• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আইনি প্রতিবন্ধকতায় নিষ্ক্রিয় ৮০ ভাগ সমবায় সমিতি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০২ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪৪ পিএম
আইনি প্রতিবন্ধকতায় নিষ্ক্রিয় সমবায় সমিতি
সমবায় সমিতি দিবস উদযাপন

নিউজ ডেস্ক : প্রতিবছরের মতো আন্তর্জাতিক কো-অপারেটিভ অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে শনিবার ১০০তম আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- সমবায় আরও একটি সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলে। আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস জাতিসংঘ ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯২৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আইসিএ কর্তৃক প্রতি বছর জুলাই মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক পরিসরে এ দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

দেশে এক লাখ ৯৬ হাজার ৩১৬টি সমবায় সমিতি আছে। এসব সমিতির সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫১৪ জন। সমবায়ের বিপুলসংখ্যক এই জনশক্তি একসঙ্গে কাজ করলে লাখ লাখ মানুষের জীবনমানকে পাল্টে দিতে পারে। কিন্তু আইনি প্রতিবন্ধকতায় প্রায় ৮০ ভাগ সমবায় সমিতি নিষ্ফ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। অডিট আপত্তি ও করোনা মহামারির মধ্যে আর্থিক সক্ষমতার অভাবেও অনেক সমিতি নিষ্ফ্ক্রিয় হয়েছে। আইনি দুর্বলতার সুযোগে অনেক সমবায় সমিতি পরিচালনা করছেন বহিরাগত ব্যক্তিরা। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সমবায় অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পর্যায়ে ২২টি সমবায় সমিতি রয়েছে। এর মধ্যে শুধু সক্রিয় রয়েছে মিল্ক্ক ভিটা। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ১ হাজার ২০৮টি ও প্রাথমিক পর্যায়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৬টি সমবায় সমিতি রয়েছে। সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি আর্থিক সুবিধা না পাওয়ার কারণে সমবায়ীরা দিন দিন আরও নিষ্ফ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপু লেন, করোনার কারণে ছোট সমিতিগুলোর অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সমিতিগুলো ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সমবায় অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দকে চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। এ ছাড়া সমবায়কে ভালো করার জন্য সমবায় সমিতি আইন পরিবর্তন করা দরকার। সমবায়ীদের উপযোগী আইন দরকার। বর্তমান আইনে সমবায়ীদের বিষয়ে অনেক বাধ্যবাধকতা আছে। আইনটা সহজ করা হলে সমবায়ের কর্মপরিধি বাড়বে।

সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, সমবায় হবে সমবায়ীদের। সমবায়ের সদস্যরাই সমবায়গুলো পরিচালনা করবে, তারাই হবে এর শক্তি, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে এবং তারাই সবকিছু পরিচালিত করবে। কিন্তু আইনি দুর্বলতার কারণে অনেক সমবায় সমিতি পরিচালনা করছেন বহিরাগতরা। সমবায় সমিতির মূল কার্যাবলি পরিচালনা করছেন আমলারা।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, সমবায় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে আইনি দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যতা বের করা হবে। আইনে যদি সংশোধনী আনার প্রয়োজন হয় তাও করা হবে। তবে সমবায় ব্যবস্থাপনাকে মর্যাদার আসনে নিতে হলে দেশের সব সমবায় সমিতিগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

ইন্টার কোপের সাবেক কো-অর্ডিনেটর এম এম মোর্শেদ সমকালকে বলেন, সমবায় সমিতির অডিট স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে হবে। অডিট, ব্যবস্থাপনা ও পরিদর্শন কাজে সমবায় কর্মকর্তাদের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক কো-অপারেটিভ অ্যালায়েন্সের ঘোষণা অনুযায়ী, সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সক্ষম। দুগ্ধ উৎপাদন ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সমবায়ের বিকল্প নেই। বিশ্বের ৩৩ ভাগ দুগ্ধজাত পণ্য সরবরাহ করে সমবায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। মোট খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের ৩৩ ভাগ বাজারজাত করা হয় সমবায়ের মাধ্যমে। বিশ্বে ২৫ ভাগ বীমা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে সমবায় সংগঠনগুলো। আমাদের দেশেও সমবায়ীদের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। তবে এগুলো শক্তিশালীকরণে সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image