• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মাতারবাড়ী বন্দর জিডিপিতে শতকরা ২ থেকে ৩ ভাগ অবদান রাখবে


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০:০৮ এএম
গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখতে এ
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর

নিউজ ডেস্ক:  মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আঞ্চলিক হাব বন্দর হবে। এটি পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের বিভিন্ন বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। মাতারবাড়ী বন্দর বাংলাদেশসহ এতদঞ্চলের প্রায় ৩ বিলিয়ন জনগণের সেবা প্রদান করবে। পুরোপুরি চালু হলে মাতারবাড়ী বন্দর দেশের জিডিপিতে শতকরা ২ থেকে ৩ ভাগ অবদান রাখবে। আগামী ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মাতারবাড়ী বন্দরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।

রবিবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখতে এসে মাতারবাড়ী প্রকল্প স্থলে তাদের উপরোক্ত অভিমত প্রকাশ করেন।

সংসদীয় কমিটির প্রধান মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে মাতারবাড়ী প্রকল্প এলাকায় পৌঁছান। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মো. শাহজাহানসহ চট্টগ্রাম বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ শুরু হয়। জাইকা মূলত মাতারবাড়ী এলাকা কোল পাওয়ার প্ল্যান্টের জেটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। জাইকা সে সময় উক্ত সমুদ্র উপকূলে গভীর সমুদ্র নির্মাণের উপযোগিতা দেখতে পায়। ঐ সময় কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছিল। জাইকা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারকে মাতারবাড়ী এলাকায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ব্যাপারে অনিশ্চয়তার মুখে জাইকার উক্ত প্রস্তাব আশার সঞ্চার করে। তারই ধারাবাহিকতায় মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালন করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চবক পরিশোধ করবে প্রায় ৮ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃক ব্যয় হবে ৮ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ ছাড়াও সড়ক ও রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে। ২০২৬ সালে বন্দর নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগের কাজও সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকায় দুটি জেটি নির্মিত হবে। একটি ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জেটি এবং ৩০০ মিটার মালটিপারপাস জেটি নির্মিত হবে। জেটির জন্য ইতিমধ্যে সমুদ্রের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ব্রেক ওয়াটার বাঁধ নির্মাণ হয়েছে। প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার ৩১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের ড্রয়িং ডিজাইন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। জেটি নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে কনস্ট্রাকশন কাজ কার্গো হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট ও নিরাপত্তা সিস্টেম এবং প্যাকেজ তিনে টাগ বোট, সার্ভে বোট, পাইলট ও ভিটিএমএসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। টেন্ডারসমূহের প্রস্তাবের মূল্যায়ন কাজও চলছে।

প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক দশমিক ৬ মিলিয়ন থেকে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন কনটেইনার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন থেকে ৪ দশমিক ১ মিলিয়ন কনটেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে।

মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে ১৬ মিটার থেকে ১৮ মিটার গভীরতার ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারবে। এতে করে প্রতিটি জাহাজ ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কনটেইনার বহন করতে পারবে। অথ চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে সর্বোচ্চ ১০ মিটার গভীরতার এবং ২০০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারে। এতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫০০ কনটেইনার বহন করতে পারবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image