• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মানিকগঞ্জে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে না পেরে দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশের মারধর 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৫৪ পিএম
গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে না পেরে
দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশের মারধর 

সাকিব আহমেদ, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই শিক্ষার্থীকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে না পেরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে থানার দুই পুলিশ ও দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুলিশের ওই দুই সদস্যকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলামের গৃহকর্মী মাসুম এবং আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মামুন গাঁজা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় দুই শিক্ষার্থীকে আটকের চেষ্টা করেন।  এ সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী প্রবাসী আক্কাস আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ এবং দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াজচর গ্রামের নৈমদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে মাসুম ও মামুন মারধর করেন এবং পুলিশের সদস্য জব্বার ও লতিফকে ডেকে আনেন। 

এ সময় নিজাম উদ্দিনকে লাথি, কিল, ঘুষি এবং বাঁশ দিয়ে মারধর করেন জব্বার। এ ছাড়া পুলিশের অপর সদস্য লতিফ মারধর করেন ফয়সালকে। নিজাম ও ফয়সালকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নেওয়ারও চেষ্টা করেন তারা। 

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।   

রামকৃষ্ণপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল হক বলেন, আন্ধারমানিক পদ্মাপাড়ে ওসির গৃহকর্মী মাসুম এবং মামুন নিজাম ও ফয়সাল নামে দুই ছাত্রকে মারধর করেন। পরে দুই পুলিশ সদস্য এসেও তাদের মারধর করেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী জয়নালের স্ত্রী বলেন, এলাকার দুইডা ভালো পোলারে গাঁজা দিয়া পুলিশে দিতে চায় মাসুম ও মামুন। ওই দুই পোলা নিজাম ও ফয়সাল প্রতিবাদ করলে পুলিশ আইসা তাদের মারছে। নিজামরে মাইরা জিহ্বা বাইর করইা ফালাইছে।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মুসা বলেন, আহত অবস্থায় নিজাম নামের এক যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আঘাতের ফলে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাকে অক্সিজেন দিয়েছি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, পুলিশের সোর্স মাসুদ গাঁজা দিয়ে দুইজন ভালো ছেলেকে ফাঁসাতে না পেরে ব্যপক মারধর করেছে। মাসুম থানার ওসির বাজারও করে। নিজেকে পুলিশও ভাবে। সাথে মামুন নামের একজন ছিল। 

ওসির বডিগার্ড জব্বার ও লতিফ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীকে ব্যপক মেরেছে। আমরা এর বিচার চাই। 

উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, পুলিশ দুজন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে, যা দুঃখজনক। এসপি মহোদয়কে জানিয়েছি। এর বিচার হতে হবে।

মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশের সদস্য জব্বার ও লতিফকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।”

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image