• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

আরপিও সংশোধনী প্রত্যাহারের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৮ জুলাই, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৪০ পিএম
কমিশনের আসল ক্ষমতা ছিল আরপিও এর ৯১ (ক) ধারা
গণতন্ত্র মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক:  গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। শনিবার রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

'গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিল ও সরকারের নীলনকশা' সম্পর্কে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আরপিও এর ধারা অনুযায়ী আগে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাতদিন আগে যাবতীয় বকেয়া বিল পরিশোধের বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন ক্ষুদ্র ঋণ, টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বকেয়া বিল একদিন আগে জমা দিলেও চলবে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনে ঋণখেলাপি ও বিলখেলাপিদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, এসব কারণে এই সংশোধনী কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা অনতিবিলম্বে এই সংশোধনী প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানাই। তা না হলে এই সংশোধনী প্রত্যাহারসহ অবাধ, গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী যাবতীয় ধারা ও তৎপরতা বাতিলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি আদায় করব।

তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী বিলটি পাস করে ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমিয়ে আনা হলো। এই সংশোধনীর মাধ্যমে যে কোনো অনিয়মের কারণে ভোট বন্ধ রাখতে এই পর্যন্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা ছিল বাস্তবে তা কেড়ে নেওয়া হলো। আরপিওর ৯১(ক) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে যে তারা আইনানুগভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না তাহলে তারা নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট বন্ধ রাখতে পারে। অর্থাৎ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল না হলে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণের আগেই নির্বাচন বন্ধ করতে পারত। এখন এই ক্ষমতা সীমিত করে কেবল ভোটের দিন সংসদীয় আসনের কতিপয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখতে পারবে, পুরো সংসদীয় আসনের নয়। সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচনের পরিবর্তে 'ভোট গ্রহণ' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।

সাইফুল হক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের আসল ক্ষমতা ছিল আরপিও এর ৯১ (ক) ধারা। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর সংশোধনী বিল পাস করে এখন নির্বাচন কমিশনকে প্রকারান্তরে ঠুটো জগন্নাথে পরিণত করা হলো। এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে এবং জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতেই এই সংশোধনী আনা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image