• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

রাঙ্গুনিয়ায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাইয়ের দখলে থাকা ৫৫ একর ভূমি উদ্ধার


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৫১ পিএম
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাইয়ের দখলে থাকা
ভূমি উদ্ধার

রূপম ভট্টাচার্য্য, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদের দখলে থাকা ৫৫ একর জমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

সোমবার ও মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব জমি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ। প্রায় ১৬ বছর ধরে এসব জায়গা অবৈধভাবে দখলে রেখে রেস্তোরাঁ, গরু-গয়ালের খামার গড়ে তোলা হয়েছিলো।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, খুরুশিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সুখবিলাস গ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ৫৫ একর বনভূমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ছয়টি গরু ও গয়ালের ঘর নির্মাণ করা হয়েছিলো। তিনটি পুকুর খনন করে মাছ চাষও করে আসছিলেন এরশাদ মাহমুদ। এর বাইরে বান্দরবান সড়কের পাশে দশমাইল এলাকায় বন বিভাগের মালিকানাধীন আরও পাঁচ একর জায়গা দখলে নিয়ে রেস্তোরাঁ ও পুকুর করা হয়েছিলো।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশনায় এবং সহকারী বন সংরক্ষক মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে খুরুশিয়া রেঞ্জ, রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ ও শহর রেঞ্জ চট্টগ্রামের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

তবে অভিযানে খামারে কোনো প্রাণী পাননি বন বিভাগের কর্মীরা। খামারের ছয়টি ঘর ও অন্যান্য অবকাঠামো ভেঙে দিয়ে নিজেদের জমির দখল নেয় বন বিভাগ।

বন বিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ছয় ঘণ্টার উচ্ছেদ অভিযানে গরু ও গয়াল রাখার ছয়টি ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সব পুকুরের পাড় কেটে পানি বের করে দেওয়া হয়েছে। বান্দরবান সড়কের পাশে গড়ে তোলা রেস্তোরাঁর সব অবৈধ স্থাপনাও অভিযানে উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত হওয়া এসব জায়গায় বনায়ন করা হবে।

দখল থেকে মুক্ত হওয়া এসব জমিতে পর্যায়ক্রমে বনায়ন করা হবে জানিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা বলেছেন, মোট ৫৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এখানে বন বিভাগে বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছিলো খামার ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য। আশপাশে আরো কিছু পাহাড়ি জমি এরশাদ মাহমুদের দখলে ছিলো। সেগুলোর বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image