
নিউজ ডেস্ক : আইকিউ এয়ারের ইনডেক্সে গত জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে ছিল ঢাকাবাসী। গত মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতকাল মঙ্গলবারও ঢাকা ছিল বায়ুদূষণের শীর্ষে। বুধবার অবশ্য এ অবস্থান নবমে, যদিও আজকের বাতাসও অস্বাস্থ্যকর।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ১৬৯। একই সময়ে এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের মুম্বাই (১৮৫)।
আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে প্রতিনিয়ত। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই স্কোরে আজ সকাল পৌনে ৯টায় বায়ুর মানের নিরিখে দূষিত তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল চীনের উহান (১৮৪)। ১৭৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে চীনেরই আরেক শহর চেংডু। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক (১৭৭) ও কাজাখস্তানের আস্তানা (১৭৬)।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
এদিকে ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ও দিনের তাপমাত্রা সামাস্য হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। আর বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ ছিল।
গত নভেম্বরে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশে উচ্চমাত্রার বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর মারা যাচ্ছেন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। একই সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির ক্ষতি হচ্ছে ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
বায়ুদূষণে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি। অন্যান্য স্বাস্থ্যগত হুমকি বাড়ার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু, বয়স্ক এবং সহজাত রোগে আক্রান্তরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। এদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ বা শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্তরা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: