বিরামপুর প্রতিনিধি, দিনাজপুর: বিরামপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি,বিদ্যুতের খুটি,গাছপালা ও মাঠের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। উক্ত ঝড়ে উড়ে গেছে বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন,ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাইকেল গ্যারেজ,বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
শনিবার (২১ মে) সরেজমিনে দেখা যায়,বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা রাতে বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বেগে ঝড় শুরু হলে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে উপড়ে পড়ে যায়। সেই সঙ্গে মাঠে থাকা অধিকাংশ জমির ধান হেলে পড়ে পানিতে ডুবে গেছে,ভুট্টা,মরিচ ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিঁড়ে বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন পথ। এমতাবস্থায় উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগ গাছ সরিয়ে ও ছেঁড়া তার মেরামত করে পুনরায় বিদুৎ সরবরাহ লাইন স্বাভাবিক করেন।
এ অবস্থায় ক্ষতি কমাতে কৃষি অফিস দ্রুত এসব ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক সেকেন্দার আলী বলেন,আমি চলতি মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে শম্পাকাটারি ধান লাগিয়েছি। এই ধান পাকতে অন্য ধানের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে। ইতি মধ্যে জমির ধান সব পেকে গেছে। কিন্তু,শ্রমিক সংকটের কারণে ধান ঘরে তোলা হয়নি। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টিতে আমার জমির সব ধান হেলে পড়ে পানিতে ডুবে গেছে। আমার মতো আরও অনেকের একই অবস্থা। এতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেলো এটি আমাদের জন্য অপুরনিয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ (ভারপ্রাপ্ত) বলেন,ঝড়ে আমার বিদ্যালয়ের হল ঘরের টিনের চালাটি উড়ে গেছে,ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাইকেল গ্যারেজ এবং বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে। ঘরটি ও সাইকেল গ্যারেজ মেরামত করার মত কোন টাকা পয়সা বিদ্যালয় ফান্ডে নেই এমতাবস্থায় আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই মূর্হতে বিদ্যালয়ের পক্ষে সাইকেল গ্যারেজ ও ঘরটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ,বিদ্যালয় ফান্ডে যে টাকা ছিল। তা দিয়ে কিছু দিন আগে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইন সংস্কারসহ বিদ্যালয়ের বেঞ্চ,টেবিল-চেয়ার তৈরি ও মেরামত করেছি।
তিনি ঘরটি মেরামত জন্য স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক (এমপি),উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু,পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী,উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন,ঝড়ে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে ঝড়ে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের টিন উড়ে যাওয়া কথা শুনেছি। মাননীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক (এমপি) মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সাইকেল গ্যারেজ,হল রুম মেরামতসহ বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / রেজওয়ান আলী/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: