নিউজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও সাবেক কূটনীতিকরা মনে করেন, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে নিরাপত্তা ইস্যুতে সোচ্চার হতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দেশটির চালানো অব্যাহত উসকানিমূলক আচরণে পরও চরম শিষ্টাচার দেখিয়ে যাচ্ছে ঢাকা।
চার দফায় ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলবের পরও বাংলাদেশ সীমান্তে থামেনি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়া বা গোলাবর্ষণের ঘটনা। আতঙ্কের সঙ্গে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক শিষ্টাচার দেখিয়ে যাচ্ছে ঢাকা। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একমাত্র উদ্যোগ ছিল, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আরসা এবং আরাকান বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর কথা জানানো।
ঢাকা আসিয়ান দেশগুলোর কূটনৈতিকদের ডেকে সীমান্তের সহিংসতা সম্পর্কে জানানোর সঙ্গে সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা জোরদারে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সাবেক কূটনৈতিকদের পরামর্শ চলতি জাতিসংঘ অধিবেশনেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক উসকানিমূলক আচরণ সম্পর্কে জানানো উচিত বাংলাদেশের। এ অধিবেশনেই জানানো উচিত, সব দেশের নেতারা সেখানে থাকবেন। এই সুযোগে বিষয়টি যদি সামনে আনা যায়, তাহলে মিয়ানমারকে এ থেকে বিরত রাখা যাবে বলে আমার মনে হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের সহিংসতার জন্য প্রয়োজনে সীমান্তে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন, প্রয়োজন হলে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বর্ডারে (সীমান্ত) যদি বিশেষ করে মিয়ানমার যেখানে এ ধরনের তৎপরতা হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ফোর্স আনার যে বিষয়গুলো সেগুলোর ওপর জোর দেয়া উচিত।
কূটনীতিতে একদমই আগ্রহ না দেখানো মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সুযোগ সীমিত থাকায় নজর দিতে হবে নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক চাপের ওপরই।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: