• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাপুনর্মিলনী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৪৯ এএম
বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
বুয়েট মহাপুনর্মিলনী

নিউজ ডেস্ক:  ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ (ইইই) থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ। শুক্রবার বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাপুনর্মিলনীতে অংশ নিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন।

তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন স্ত্রী সেলিনা আজাদ। তিনি বলেন, 'আমরা তো বুড়ো হয়ে গিয়েছি। কিন্তু যেখানে যৌবনের উত্তাল সময় কাটিয়েছি, সেটাকে কীভাবে ভুলি। এই ক্যাম্পাসে আমার অনেক স্মৃতি। আজকে একটু বিশেষ দিন। চেনা-পরিচিত মানুষদের সঙ্গে দেখা হলো, এটা আনন্দের। আবার অনেকে এখন বেঁচে নেই। তাঁদের দুঃখে কাতর হই।'   

দিনব্যাপী আয়োজনে বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাঁরা হারিয়ে গিয়েছিলেন অতীত রোমন্থনে। খেলাধুলা, আঁকাআঁকি আর বিনোদনে মেতেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা। ছোটদের জন্য ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা, নাগরদোলা, চক্রাকার ট্রেনসদৃশ গাড়িতে চড়ার ব্যবস্থাসহ নানা আয়োজনে উৎসবমুখর ছিল বুয়েট প্রাঙ্গণ। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছবি ও নকশা প্রদর্শনী। পুরস্কৃত করা হয় বুয়েটের কৃতী ছাত্রছাত্রীদের। বুয়েট অ্যালামনাইয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছিল বুয়েটের খেলার মাঠ। মাঠের পাশে উদ্বোধনীর নয়নাভিরাম মঞ্চ। মঞ্চের পাশে কফি বুথ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজের জন্য প্যান্ডেল। এর পাশে শিশুদের খেলার আয়োজনে ছিল বায়স্কোপ, পুতুল নাচ, রাইড, নাগরদোলা।

প্রায় প্রতিটি আয়োজনে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী তাহমিদ কবিরের ছবি তুলছিলেন বাবা মো. জিয়াউল কবির। জিজ্ঞেস করতেই জানালেন, তাঁর স্ত্রী জেবুন নাহার সেলিমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১৯৯৫ সালে পাস করেছেন। সেই সূত্রে তাঁরা এসেছেন। ছেলে যেন বুয়েটে ভর্তি হতে পারে, তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। ছেলেকে উপলব্ধি করাতে চান, বুয়েটের গুরুত্ব। তাই স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলছেন।  

আরেক পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন ইইই বিভাগের ৮৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. বখতিয়ার, কাজী ফায়েজুর রহমান এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওসমান হাসান। তাঁরা জানালেন, ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর কোনো পুনর্মিলনী বাদ দেননি। তারই ধারাবাহিকতায় এসেছেন।

মহাপুনর্মিলনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও উপ-উপাচার্য অধ্যপক ড. আব্দুল জব্বার খান। সভাপতিত্ব করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।

অনুষ্ঠানে 'প্রকৌশল শিক্ষার বিবর্তন এবং ভবিষ্যৎ' বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষাবিদ বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড মেটিরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম।

ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন, জিডিপিসহ বিভিন্ন খাতে উন্নতি করেছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি কখনও বিয়োগান্ত হয়নি। তবে ন্যায়বিচার এবং সমতাভিত্তিক বিতরণ ব্যবস্থা এখানে বিপর্যস্ত। সব নীতিতে ভুলে ভরা অবস্থা। এক ভাগ লোকের হাতে শতকরা ১৭ ভাগ সম্পদ রয়েছে। করখেলাপ, ঋণখেলাপ অনেক বেড়েছে। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ। তবুও দাম কেন বাড়বে।

তবে এসব সমাধান করা কঠিন নয় বলে তিন মনে করেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে পরামর্শ চাইলে আমরা সমাধান দিতে পারি। এই সমাধানে দরকার রাজনৈতিক সংকল্প এবং গোষ্ঠী বিশেষে সুবিধা দেওয়া বন্ধ করা। গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে। ডেটা সায়েন্স, মেশিং লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি, ক্লাইমেট অ্যাকশন সবাইকে শেখাতে হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image