
নিউজ ডেস্ক: হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে ২৩ লক্ষ মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু তাদের যাওয়ার জায়গা নেই, ইসরাইল এবং মিশর উভয়ই তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
গাজা উপত্যকার বাসিন্দা আয়েশা আবু দাক্কা বিমান হামলা সম্পর্কে বলেন,আপনি দূর থেকে বোমার শব্দ শুনতে পাবেন, এবং তারপর আপনি ঘর কাঁপাছে সেই অনুভূতি পাবেন। এই মুহূর্তে আমরা যা করতে পারি তা হল অপেক্ষা করা এবং প্রার্থনা করা ।
৩৮ বছর বয়সী গাজার আরেক বাসিন্দা মাজেন মোহাম্মদ বলেন, ভোরের আগে বিস্ফোরণে এলাকা কেঁপে উঠলে পরিবার আতঙ্কিত একসঙ্গে লুকিয়ে রাত কাটায়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, আমাদের মনে হচ্ছিল যেন আমরা একটি ভূতের শহরে ছিলাম, আমরাই বেঁচে আছি। সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করা হয়েছে, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গাজা ছিটমহলের একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গতকাল জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওগুলিতে বাসিন্দারা তাদের ফোন চার্জ করার জন্য গাড়ির ব্যাটারি ব্যবহার করতে দেখা যায়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজার আল-শিফা হাসপাতাল রোগীদের আগমনে অক্সিজেন সহ চিকিৎসা সরবরাহ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। দোকান থেকে টিনজাত খাবার দ্রুত উধাও হয়ে যাচ্ছে, এলাকার একমাত্র কসাইখানা বন্ধ। সীমান্তের কাছে উৎপাদিত সবজির সরবরাহ কম। ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করেছে। সেখানে বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে যুদ্ধরত দুই শক্তির ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা কতটা কঠিন তা কেউ কল্পনা করতে পারে না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: