• ঢাকা
  • বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ময়মনসিংহে আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলের সামনে নির্মাণার্ধীন প্রাচীর বন্ধ, সংস্কারে ডিসির আশ্বাস


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৫৬ পিএম
আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলের সামনে
নির্মাণার্ধীন প্রাচীর বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক স্থাপনা আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল বা ‘লোহার কুঠি’ এবং সামনের খেলার মাঠ ঘিরে নির্মাণাধীন প্রাচীর নানান আলোচনা ও আন্দোলনের
মুখে অবশেষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে এক বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।

একইসঙ্গে সরকারি ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল সংস্কারে তিন লাখ টাকা বরাদ্দের কথাও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

ময়মনসিংহ জেলার শতবর্ষ উপলক্ষে মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজা সুকান্ত সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী শহরে উৎসব পালনের জন্য দ্বিতল এই ভবনটি নির্মাণ করেন। আবার কারও মতে, ময়মনসিংহের তৎকালীন ইংরেজ কালেক্টর আলেকজান্দ্রা নামে ১৮৭৯ সালে ভবনটি নির্মিত হয়। শুরুতে এটি মহারাজার বাগানবাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বছর দুয়েক আগে প্রত্মতত্ত¡ অধিদপ্তর পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।

সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার অজুহাতে আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলের পাশে সরকারি ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষকরা অভ্যন্তরীণ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে। পরে সমালোচনার মধ্যে কাজ বন্ধের নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক। গত সোমবার ‘আমরা ময়মনসিংহবাসী’র ব্যানারে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে সীমানা প্রাচীর বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন
সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এসব বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলের ভেতরে প্রতিষ্ঠিত সরকারি ল্যাবরেটরি হাই স্কুলসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। বৈঠকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলের দুই পাশের গেটে নিরাপত্তার জোরদারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত আসে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, সরকারি ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলের সামনে এবং পাশ দিয়ে যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন, তা বন্ধ এবং যেটুকু কাজ হয়েছে তা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি বহিরাগতরা যেন বিনা কারণে আলেকজান্দ্রা ক্যাসেলে প্রবেশ
করে শিক্ষার্থীদের বিরক্তের কারণ না হয় সেজন্য নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সেই কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সাত প্রতিষ্ঠানের সাতজন থাকবে। কমিটির সিদ্ধান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। কোনো কারণ ছাড়া এর ভেতর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। পর্যটকদের ১০ টাকা টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। মোটরসাইকেল চলাচল একেবারে নিষিদ্ধ করা হবে। আর ঐতিহ্যবাহী আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল সংস্কারে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিব্বির আহম্মেদ লিটন বলেন, সীমানা প্রাচীর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা চাই না কোন কারণে আমাদের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর সৌন্দর্যের হানি ঘটুক।

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক তাপস মজুমদার বলেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। আমাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমাদের মেয়েরা যাতে বখাটেদের ইভটিজিংয়ের শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত হলেই আমরা খুশি।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image