• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

কোরবানি হাটের সেরা আকর্ষণ ‘‘দিনাজপুরের রাজা’’ দাম ১২ লক্ষ টাকা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০২:৩২ পিএম
‘দিনাজপুরের রাজা
ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি, দিনাজপুর: এবারের কোরবানি ঈদে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সেরা আকর্ষণ ‘‘দিনাজপুরের রাজা’’ নামে ফ্রিজিয়ান জাতের প্রায় হাজার দুইশত কেজি (৫৫) মণ ওজনের ‘‘দিনাজপুরের রাজা’’র দাম রাখা হয়েছে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।

এই বিশাল ষাঁড়টি গায়ের রঙ কালো সাদা মিশ্রিত। ভালো দাম পাওয়া আশায় প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে আaসছেন মোঃ গোলাম মোস্তফা ও তার পরিবারের লোকজন।

উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া গ্রামের মোঃ আজগর আলীর ছেলে,উপজেলার সিদ্দিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের গণীতের শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বানিজ্যিক ভাবে গরু মোটা তাজা করণ খামারের সাথে জড়িত। তার নিজ খামারের ফ্রিজিয়ান জাতের গাভি হতে জন্ম নেওয়া  এই গরু রাজকিয় ভাবে লালন পালন করেছেন বলে তার নাম রেখেছেন ‘‘দিনাজপুরের রাজা”।

‘‘দিনাজপুরের রাজা’’ নামে গরুর মালিক গোলাম মোস্তফা জানান, দিনাজপুরের রাজাকে দেখাশোনা করেন ২ জন লোক। তার খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা,গমের ভুসি,মিষ্টি কুমড়া এবং সবুজ কাঁচা ঘাস,ফ্যানের বাতাস ছাড়া থাকতে পারেনা ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়। বিদ্যুৎ না থাকলেও গরুটির জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রতিদিন তিনবার করে গোসল করাতে হয়। গোসলের পর আবার শুকনা কাপড় দিয়ে শরীরের পানি মুছে ফেলতে হয় যাতে ঠান্ডা না লেগে যায়। মাত্র সাড়ে ৪ বছরেই তিনি গরুটিকে এই উপযোগী করেছেন।

তিনি আরোও বলেন,গরুটির দাম ১২ লক্ষ ধরা হয়েছে তবে দাম দরে বনলে কম করে হলেও বিক্রী করে দিবেন। অনেক ক্রেতারাই ভিড় করছেন। তবে যে কেউ আসলে গরুটি দেখে পছন্দ হলে কিনে নিতে পারবেন। গোলাম মোস্তফা  আরও বলেন, ‘‘দিনাজপুরের রাজার’’ খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় হয়। ।

এই নিয়ে আমার এ পর্যন্ত  ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দিনাজপুরের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখেছি সে অনুযায়ী আমি দাবি করতে পারি যে, এই গুরুই বর্তমানে দিনাজপুর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরু। গত বছর করোনাভাইরাসের কারনে হাট-বাজার ঠিকমত না বসায় গরুটি বিক্রয় করতে পারেন নাই। ‘‘দিনাজপুরের রাজা’’কে চলতি বছরের ঈদুল আজহার হাটে বিক্রি করবেন বলে আশা তার।

গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী অনেক সৌখিন মানুষ।নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি লালন-পালন করেছেন।গরুটি আমাদের কাছে খুবই আপন হয়ে গেছে।ওকে বিক্রি করলে খুব কষ্ট লাগবে।কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে যদি ভালো দাম পাই তা হলে কষ্ট কিছুটা কমবে।

গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এই গরুটিকে গোসল করাতে গিয়ে কষ্ট হয়নি।তার চরিত্র ছিল একেবারে শান্ত।তাকে বিক্রি করলেও বড় কষ্ট লাগবে।কিন্তু সারা জীবনত রাখা যাবেনা বিক্রি করতেই হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / মোঃ হারুন-উর-রশীদ/কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image