ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের গাছতলা উত্তরপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল আহাদের মালিকানা সম্পত্তি মক্তব ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে বিগত ৩৫ বছর পূর্বে আব্দুল আহাদ জীবিত থাকা অবস্থায় ১৫ শতক জায়গা সাবকাওলা করে ওয়াকফা করে দেয় মক্তব ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য। ৭ এপ্রিল ১৯৯০ ইং তারিখে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ২৭৫৫ নং দলিল মূলে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক মক্তব ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে গাছতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক বরাবর। কিন্তু মৃত আব্দুল আহাদের ছেলেরা জোরপূর্বক মসজিদ তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রে জানা যায়। উত্তরপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন বর্তমানে ওয়াকফা কৃত জায়গায় মক্তব ও মাদ্রাসার খরচ আমরা বহন করছি।
৩৫ বছর পর ওয়াকফা করা মক্তব ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় আব্দুল আহাদের ওয়ারিশগণ জোরপূর্বক মসজিদ নির্মাণের পায়তারা করে আসছে। মসজিদ কমিটির পক্ষে জয়নাল আবেদীন বলেন যেহেতু এই জায়গায় ওয়াকফা করা হয়েছে মক্তব ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার নামে পুনরায় আব্দুল আহাদের ওয়ারিশগনেরা মক্তব এবং মাদ্রাসা ভেঙ্গে কিভাবে তারা মসজিদ নির্মাণ করার চেষ্টা করে এটাই এলাকার জনমনে প্রশ্ন? অথচ প্রায় আড়াইশো গজ দূরেই আরেকটি মসজিদ বিদ্যমান রয়েছে। ওয়াকফা করা জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করার জন্য বারবার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাদেরকে বাধা দেয়। ফলে উত্তরপাড়া মসজিদ কমিটিতে থাকা সদস্যদেরকে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। উত্তরপাড়া জামে মসজিদ কমিটির পক্ষে জয়নাল আবেদিন বলেন সাইদুল,আহাদ,হারুন মিয়া, হামিদ মিয়া, বাবুল মিয়া, সেলিম মিয়া, মাহফুজ, মন্নর মিয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে প্রায়সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
উত্তরপাড়া গাছতলা ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিবরিয়া বলেন, যেহেতু এই মহল্লায় একটি মসজিদ আছে, এবং জায়গাটি ওয়াকফা করা পুনরায় পশাপাশি আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করার প্রয়োজন নেই বলে মনে করি। ইসলামী রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা মাদ্রাসা ঢাকা প্রধান মুফতির ফতুয়ায় বলা হয়েছে ওয়াকফার সম্পত্তি ওয়াকফা কারীর উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজ ও ভিন্ন খাতে ব্যবহার করা শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে নাজায়েজ বিধায়, মক্তবের জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করা জায়েজ হবে না।
ভাদুঘর সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রধান মুফতির ফতোয়ায় বলা হয়েছে যেহেতু দাতার উদ্দেশ্য মক্তব দাতার উদ্দেশ্য ও নিয়ম দলিলে উল্লেখ আছে তাই তা বাস্তবায়ন করা জরুরী। তা ছাড়া একি মহল্লায় একটি মসজিদ আছে সবাই মিলে ওই মসজিদে নামাজ আদায় করাই শ্রেয়। বর্তমানে গাছতলা উত্তরপাড়াবাসী প্রশাসনের কাছে চলমান মামলাটি বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: