• ঢাকা
  • সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৭ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৫৯ পিএম
বড়পুকুরিয়া
কয়লাখনিতে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন 

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংলগ্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার মিথ্যা আশ্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জীবন ও বসত ভিটা রক্ষা কমিটি।

রবিবার সকাল ১০টায় খনির মূল ফটকে বিক্ষোভ শেষে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় দেড় সহস্রাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ। 

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মতিয়ার রহমান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মোসলেমা বেগম, মালেকা বেগম, মো. আলিমুদ্দিন, গোলাম রহমান ও মাসুদসহ আরো অনেকে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য মাইন বিষ্ফোরণ করা হয়। সে বিষ্ফোরণের কারণে খনি সংলগ্ন চৌহাটি এলাকার প্রায় দেড় সহস্রাধিক ঘরবাড়ী ফেটে গেছে। আমরা খনি কর্তৃপক্ষকে ৪ দফা দাবি দিয়েছি। ৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফাটা বাড়ীর ক্ষতিপূরণ দেয়া, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চৌহাটিবাসীকে বোঝানো বন্ধ করা, কয়লাখনি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় চৌহাটি এলাকাবাসীর সাথে সমঝোতা চুক্তির ১০০% বাস্তবায়ন করা এবং চৌহাটিবাসীর চলাচলের রাস্তা মেরামত করা। বারবার তাগিদ দেয়ার পরেও তারা আমাদের অভিযোগ বা দাবির কোনো কর্ণপাত করছেন না। দাবি বাস্তবায়নে তৎকালীন খনি কর্তৃপক্ষ ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবগত করা হলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আর কতদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করব? আমরা অতিদ্রুত মাননীয় বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানের কাছে ৪ দফা বাস্তবায়ন করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা অনুরোধ করছি।

সংগঠনের সভাপতি মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে গেছে। এ গ্রামের কোনো অসুস্থ রোগী থাকলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় অ্যাম্বুলেন্সও এই গ্রামে আসে না। আমরা এর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ চাই। আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের চার দফা দাবি মেনে না নিলে খনি ঘেরাও করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কোনো ক্ষতক্ষতি হলে তার দ্বায়ভার খনিকর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে সার্ভে টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সার্ভে করে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image