নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি।
এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দেন। সংকট উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিনিবাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে পৌঁছায়। তবে বৈঠকে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আবদুল্লাহ অংশ নেন।
বৈঠকে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি তাঁকে এই সরকারের প্রধান করার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাবে সম্মতি দেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ সদস্যের তালিকা দেওয়া হয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। আশা করছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দেশবাসী পেয়ে যাবে।
সমন্বয়কদের সূত্রে জানা যায়, ড. ইউনূসের পক্ষ থেকেও তাদের ৩১ সদস্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। দেশে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে বাকি উপদেষ্টাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবনার জন্য। সূত্রের দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার হবে ১৫ থেকে ২০ সদস্যের।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: