নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে মা-ছেলে খুন হওয়া ঘরের পাশের সুপারি গাছে কে উঠেছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল খুনের রহস্য। জানা গেল, আইপিএল নিয়ে জুয়া খেলে ঋণগ্রস্তে এক যুবক খুন করেন প্রতিবেশী ভাবী ও তার ৮ বছরের ছেলেকে।
সুপারি গাছে লেগে থাকা মাটি ধরিয়ে দিল ডাবল মার্ডারের খুনিকে।
সোমবার (১১ জুলাই) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
স্বামীর মৃত্যুর পর ৮ বছরের সন্তান তালহাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন কাকুলি। গত ৩ জুন সেই ঘরেই পাওয়া যায় কাকুলি ও তার সন্তানের গলাকাটা মরদেহ।
এই ঘটনায় নিহত কাকুলির মা তাসলিমা বেগম মামলা করলে তদন্তে নামে পিবিআই। সংস্থাটি জানায়, শুরুতে মামলাটি ক্লুলেস ছিল। কিন্তু সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে তারা পেয়ে যান রহস্য সমাধানের সূত্র।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এই বাড়ির বাথরুমের ভেন্টিলেটরের পাশে একটি সুপারি গাছ আছে। সেই সুপারি গাছে কেউ উঠেছিল। সেখানে কাঁদা লাগানো ছিল। কিন্তু সুপারি গাছে সুপারি নেই। সুতরাং তিনি কেন উঠবেন?
পিবিআই জানিয়েছে, আইপিএলের জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে প্রতিবেশি ভাবী কাকুলির কাছে টাকা ধার চাইতে যান সাদিকুর। তখন রাত সাড়ে ১০টা। ব্লেন্ডার নেয়ার অজুহাতে ঘরে ঢোকেন সাদিকুর। কিন্তু টাকা না পেয়ে স্বর্ণালংকার লুট করতে খুন করেন কাকুলিকে। আর ঘটনা দেখা ফেলায় প্রাণ যায় তার সন্তান তালহারও।
বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সাদিকুর তার ভাবীকে চেয়ারে বসতে বলেন। তখন পেছন থেকে ভাবীর গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ধরেন। এতে করে কাকুলি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পাশে থাকা আয়রন দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন ওই যুবক। তার মাথা থ্যাতলানো পাওয়া গেছে। এরপর মৃত্যু আরও নিশ্চিত করার জন্য রান্না ঘর থেকে বটি এনে তাকে জবাই করা হয়।
এই ঘটনায় আসামির ফাঁসি দাবি করেন নিহতের পরিবার।
পরিবার আরও মনে করে, শুধু সাদিকুরের একার পক্ষে ডাবল মার্ডার করা সম্ভব নয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: