
সুমন দত্ত: কর্মী হত্যার বিচার চেয়ে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে হেযবুত তওহীদ ইসলামি আন্দোলন নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন । ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে দিবালোক হেযুবত তওহীদের দুই কর্মীকে উগ্রবাদে জড়িত জঙ্গিরা জবাই করে হত্যা করেছিল। সেদিন তাঁদের বাচাতে এগিয়ে আসেনি কেউ। পুলিশ তড়িঘড়ি করে সেই মামলার চার্জশিট দিলেও আসামিরা জামিনে বেরিয়ে আছে। এখনো এই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়নি।
১৯৭১ সালে যে রাজাকার, আলবদর গোষ্ঠী এদেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল, তাদের অনুসারী লোকরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ হেযুবত তওহীদের। এরা বাংলাদেশকে একটি উগ্র জঙ্গিবাদী দেশ হিসেবে পরিচিত করতে চায়। এরা ইসলামের নামে ফেৎনাবাজ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সঙ্গে এরা বসবাস করতে চায় না।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন, মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস, অপরাজনীতি, নারী নির্যাতন ইত্যাদি যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আদর্শিক সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়াই এই সংগঠনের লক্ষ্য। আমার নামে গুজব ছড়িয়ে লোকজনকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়া হয়। তারা আমার মা কে মাথায় আঘাত করে। আজ আমার জীবন হুমকির মুখে। যেকোনো সময় শহীদ হয়ে যেতে পারি।
অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত গিটারিস্ট এনামুল কবীর, বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি গোষ্ঠী সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, নিহত হেযুবত তওহীদ কর্মী খোকনের বোন ও এ কে এম সীমান্ত।
বহু কালজয়ী গানের স্বরলিপি লেখক এনামুল কবীর বলেন, জঙ্গিরা আমাকে গীটার ছেড়ে দেবার জন্য হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছে। আমি গীটার ছেড়ে দেয়নি। আমি আমার কাজ করে যাব। কেউ হুমকি দিয়ে আমার কাজ বন্ধ করতে পারবে না।
খোকনের বোন বলেন, আমার ভাই সাধারণভাবে চলাফেরা করত। তাকে জঙ্গিরা টার্গেট করতে পারে সেটা কখনও ভাবিনি। তাকে হত্যা করা হলো। তার পরিবারের কি হবে। আমি ভাই হত্যার বিচার এদেশের সরকারের কাছে চাই। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচার করে রায় কার্যকর করা হোক।
অরুণ সরকার রানা বলেন, এদেশ বঙ্গবন্ধুর। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে এই দেশ তৈরি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিল আগে আমি বাঙালি তারপর মুসলমান। তার এই দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াবে এটা হতে পারে না। তিনি নিহত খোকন হত্যার বিচার যেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সরকার করে, সে আবেদন জানান।
সংগঠনটি তাদের নেতার নামে সমস্ত গুজব ও অপপ্রচারের নথি জবাবসহ সাংবাদিকদের বিতরণ করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: