বিজয়কর রতন, (মিঠামইন) কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গত ১৯ শে সেপ্টেম্বর সোমবার পত্রিকায় প্রকাশের পর, প্রশাসনের সহযোগিতায় বেপরোয়া বালু খেকুরা, শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সংবাদ খানি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নজরে আসে। রাষ্ট্রপতির সহোদর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আঃ হক নুরু সংবাদ খানি রাষ্ট্রপতিকে অবগত করেন বঙ্গভবনে।
তাৎক্ষনিক রাষ্ট্রপতি মহোদয় বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। গত ২২ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অষ্ট্রগ্রাম উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মনজুরুল মুর্শেদ ও অষ্ট্রগ্রাম থানার ওসি মুর্শেদ জামান অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
ড্রেজারে থাকা কোন লোকজনকে পাওয়া যায়নি, তারা পালিয়ে গেছে। অভিযোগ কারী হারিছ মিয়া জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না অইলে বালু তোলা বন্ধ অইতনা। আমরার অনেক দিনের আশা রাষ্ট্রপতি পূরন করছে। অষ্ট্রগ্রাম উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মনজুরুল মুর্শেদ এর সাথে মুটোফোনে কথা বলেল তিনি জানান, উপরের নির্দেশ অভিযান চালিয়ে নদী থেকে ড্রেজার জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি। ড্রেজারে কাউকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, র্দীঘ এক বছর যাবত মেঘনা নদীর সংযোগ স্থল থেকে দুটি ড্রেজার দিনরাত বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। বালি উত্তোলনের ফলে নদীর তীরের ১০টি সেচ স্ক্রীম সহ ৫ শতাধিক একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়েছে। নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৮ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাধঁ ভেঙ্গে গেছে। এ ব্যাপারে স্কীম ম্যানেজার হারিছ মিয়া গত ৪ই সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: