
নিউজ ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস শেষ। কাল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। এখন চলছে ঈদের ছুটি। অতীতের মতো এবারের ঈদের ছুটিতে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে যাচ্ছেন অন্তত ৮ লাখ পর্যটক। তাঁদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও সাত শতাধিক রেস্তোরাঁ।
পর্যটকেরা সৈকত ভ্রমণের পাশাপাশি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক, টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, ইনানী সৈকত, পাটোয়ারটেক, রামুর বৌদ্ধপল্লি, ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, সাগরদ্বীপ মহেশখালী, সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণে যাবেন। ইতিমধ্যে বিনোদনকেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ নানাভাবে সজ্জিত করা হয়েছে।
কক্সবাজার চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, গত বছর ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে এসেছিলেন প্রায় ১০ লাখ পর্যটক। তখন হোটেল, গেস্টহাউস, রেস্তোরাঁসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা হয়েছিল প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
এবারের ঈদেও একই রকম পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু ১২ দিন ধরে কক্সবাজারে তীব্র দাবদাহ চলছে। আছে লোডশেডিংও। সবকিছু বিবেচনা করে এবার কক্সবাজারে ঈদের ছুটিতে আট লাখ পর্যটকের সমাগম আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্টে ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে জানিয়ে আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানান, আট লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটলে ৫০০-৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি হোটেলের কক্ষ ভাড়া এবং খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় বন্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর থাকতে হবে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈকত এলাকার ৫০টির বেশি গেস্টহাউস, কটেজ, হোটেল-রিসোর্টে পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। বর্তমানে কোনো হোটেলে অতিথি না থাকলেও ঈদের দিন থেকে পর্যটকের সমাগম আশা করছেন অনেকে।
কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ঈদের প্রথম দিন সৈকত ভ্রমণে আসবেন প্রায় ১২ হাজার পর্যটক। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে টানা পাঁচ দিন প্রতিদিন এক লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে আবাসিক হোটেল ও গেস্টহাউস, রিসোর্টের ৭০ শতাংশ কক্ষের আগাম বুক হয়ে গেছে। অবশিষ্ট কক্ষ শনিবার দুপুরের মধ্যে মধ্যে বুকড হয়ে যেতে পারে। পবিত্র রমজান মাসে পর্যটক টানতে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ঈদের এই ছুটিতে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: