নিউজ ডেস্ক : রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লাবাহী জাহাজ পশুর নদী দিয়ে পরিবহন করা হয়। পাশেই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার ছাই পরিশোধনের পর গরম পানি পড়ছে নদীতে। এতে দূষণের মাত্রা ছাড়িয়েছে দ্বিগুণের বেশি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনের ওপরেও। এতে ভয়াবহ দূষণে হাজার কোটি টাকার মৎস্য সম্পদ রক্ষায় পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
জানা যায়, ২০২২ সালে বাগেরহাটের রামপালে চালু হয় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। পশুর নদী দিয়ে পরিবহন করা হয় কয়লাবাহী জাহাজ, মাঝে মধ্যে এসব জাহাজডুবির ঘটনাও ঘটে। পাশেই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার ছাই এবং পরিশোধনের পর গরম পানি পড়ছে নদীতে। সঙ্গে মিশছে নানা রাসায়নিকও।
বিশেষজ্ঞরা জানান, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর আগের চেয়ে বর্তমানে নদীর দূষণের মাত্রা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। একই পরিসংখ্যান মাছের রেণুরও। নদীতে জলজ প্রাণীর খাদ্য কমেছে অতিমাত্রায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সুন্দরবনের ওপরও।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘যাদের ওপর নির্ভর করে আসলে জলজ প্রাণী বেঁচে থাকে সেগুলো নদীতে অতিমাত্রায় কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় নদীর স্বাভাবিক যে জীবন আছে সেটা আর থাকবে না।’
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: