আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবান শাসিত সরকার আফগানিস্তানের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) নারী কর্মীদের কর্মস্থলে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তালেবানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধ করাকে নারী স্বাধীনতার সর্বশেষ দমন হিসেবে দেখছে পশ্চিমারা।
শনিবার চিঠির ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল রাহমান হাবিব নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত নারী কর্মীদের কাজে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। নারীদের কেউ কেউ প্রশাসনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ইসলামি অনুশাসনের পোশাকের নিয়ম মেনে চলেননি।
মুখপাত্র বলেন, এ নির্দেশ অমান্যকারী যেকোনো এনজিওকে আফগানিস্তানে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
তালেবানের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার কয়েকদিনের পরই এনজিওতে নারীদের কাজের ওপর বাধা আসলো। ছাত্রীদের শিক্ষার ওপর বাধা আসায় আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র নিন্দা করছে পশ্চিমা দেশ ও তাদের মিত্ররা। এ সিদ্ধান্তে আফগানিস্তানে কিছু বিক্ষোভ ও কঠোর সমালোচনা হচ্ছে তালেবানদের।
এনজিওতে কাজে না যাওয়ার ব্যাপারে তালেবানের এ সিদ্ধান্ত জাতিসংঘে কর্মরত নারীদের ওপর কী প্রভাব পড়তে তা এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ, আফগানিস্তানজুড়ে জাতিসংঘের অনেক সংস্থাই কাজ করছে। তারা সেখানে সেবা ও মানবিক সংকট উত্তরণে সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থাগুলোর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে হাবিব বলেন, আফগানিস্তানের সমন্বয় বোর্ডের অধীনে মানবিক সংগঠনগুলোর ক্ষেত্রে চিঠিটি প্রয়োগ হবে। ঐ বোর্ডের অধীনে জাতিসংঘ নয়। কিন্তু সেখানে ১৮০টির বেশি দেশি ও বিদেশি এনজিও রয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পরিচালনার জন্য দেশটিতে নিবন্ধিত এনজিওদের সহায়তা দেয় জাতিসংঘ।
আফগানিস্তানের মানবিক সমন্বয়কের সহ বিশেষ প্রতিনিধি রামিজ আলাকবারভ বলেন, তালেবানের চিঠির ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। এটি মানবিক নীতির পরিষ্কার লঙ্ঘন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কোহিনুর
আপনার মতামত লিখুন: