
জালাল উদ্দিন মন্ডল,নান্দাইল প্রতিনিধি: উপজেলার সদর বাজার সহ উপজেলার প্রায় ৫০টি বাজারের মুদিদোকান থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডিম, তরকারি, ফল ও মিষ্টির দোকানসহ সব ক্ষেত্রেই দিন দিন বাড়ছে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার।
এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ক্ষতি হচ্ছে কৃষিজমির। এ দূষণ বন্ধে প্রশাসনের নেই জোরালো কোনো উদ্যোগ।
পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে ২০০২ সালে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার। এ ছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিনে তৈরি সব ধরনের শপিং ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি ও বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুত–বিতরণ নিষিদ্ধ। এর ব্যত্যয় হলে জেল–জরিমানার বিধান রয়েছে। অথচ এ আইন লঙ্ঘন করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজারগুলোতে দেদারছে বিক্রি ও ব্যাবহার হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ।
সম্প্রতি উপজেলার নান্দাইল বাজার, চন্ডীপাশা নতুন বাজার , নান্দাইলরোড বাজার,বাশঁহাটি বজার, রসুলপুর চিলার বাজার, দাতারটিয়া বাজার ,ঝালুয়া বাজার,চামটা বাজার,কানারামপুর বাজার, মধুপুর বাজার, কালিয়াপাড়া বাজার, সংগ্রামখালী বাজার, চরকামাটখালী বীরকাটখালী বাজার, দেওয়ানগঞ্জ বাজার, বনগ্রাম বজার, রাজাবাড়িয়া বাজার, পাচঁরুখী বাজার,কালিয়ান বাজার, সুরাটি বাজার,সিসষ্টোর বাজার, আওয়ালধনী বাজার, সিংদই খালপাড় বাজার, আচারগাঁও জামতলা বাজার, বাকচান্দা বাজার, সিংরইল বাজার, দিলালপুর বাজার, মুশুল্লী জামতলা বাজার, চকমতি বাজার, তারেরঘাট বাজার, কালিগঞ্জ বাজার, সুনামগঞ্জ বাজার, লায়লার বাজার,গাঙ্গাইল বাজার, চামারুল্লাহ বাজার, সহ প্রায় অর্ধশত ছোট বড় বাজার গুড়ে দেখা যায় পলিথিন ব্যাগের ছড়াছড়ি । মাছ, মাংস, সবজি, ডিম, তরকারি, পান-সুপারি, ফল, মিষ্টি ও মনোহরি পণ্যসহ প্রায় সবই বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগে। এসব বাজারের অলিগলির দোকানপাটের ক্রেতাদের অধিকাংশ মানুষের হাতেই দেখা গেছে পলিথিন ব্যাগ। তাই সবজি, মাছ, মাংস, ডাল যা–ই কিনছেন, তার জন্য নিতে হচ্ছে আলাদা আলাদা পলিথিন ব্যাগ।
বাজারগুলোতে ব্যাবহিত পলিথিন ব্যাগকে সামান্য একটা বস্তুু মনে হলেও এর হাজারটা ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
নান্দাইল কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মোঃ রফিক মিয়া বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাস্টমাররা বাজারের ব্যাগ নিয়া আসেন না। তখন বাধ্য হয়েই আমাদের পলিথিন ব্যাগ দিতে হয়। কী করুম, ব্যাগ না দিলে তো আবার সদাই কিনতে চায় না।’
তবে ক্রেতাদের দাবি, দোকানে পলিথিন ব্যাগ রাখা হয় বলেই তাঁরা এর ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছেন। মো. আলআমিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘কিছু কেনার সময় বিক্রেতারাই পলিথিন ব্যাগে ভরে দেয়। তাই আমরাও নেই। তারা বিক্রি বন্ধ করে দিলে আমরাও সচেতন হয়ে যাব।
পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন মোঃ রায়হান মিয়া বলেন, নিষিদ্ধ এই পলিথিন একই সঙ্গে কৃষিজমি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। এটি একটি অপচনশীল প্লাস্টিক– পদার্থ, যা দীর্ঘদিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত, অবিকৃত থেকে মাটি ও পানি দূষিত করে। এতে মাটির উর্বরতা শক্তি ও গুণ নষ্ট হয়ে ফলন কমে যায়। যত্রতত্র পলিথিন পড়ে থাকা, আগুনে পোড়ালে বাতাস দূষিত করা এবং পয়োনিষ্কাশনে বাধা তৈরি সহ নানাভাবে পরিবেশকে দূষিত করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নান্দাইল বাজারের এক মাছ বিক্রেতা এ প্রতিনিধিকে বলেন, দির্ঘদিন ধরে এখানে মাছ বেচি। কিন্তুু পলিথিন ব্যাগ ব্যাবহারের ব্যাপারে কেউ কিছু বলে নাই। নিষেধও করে নাই।’
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল মনসুরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কার্যকর উদ্যোগ নেই কথাটি ঠিক না ,বিগত দিনে বেশ কয়েকবার বাজার গুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে তাছাড়া এবিষয়ে বাজার গুলোতে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: