
ডেস্ক রিপোর্টার: ঢাকাসহ দেশজুড়ে জনসমাগম ঠেকাতে ছিল নিরাপত্তার চাদর। আর এর মধ্যেই পুরানো বছরের বিষাদ আর জরাকে বিদায় জানিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে নতুন বছরকে বরণ করলো রাজধানীবাসী। নগরীর গুলশান, বারিধারাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার উন্মুক্তস্থানে ছিল না কোন আয়োজন।
নিরাপত্তার চাদরে বর্ষবরণ। নগরে উন্মুক্ত কোন স্থানে কোন আয়োজন না থাকলেও রাত ১২টায় ঢাকার আকাশ যেন সেজেছিল নানা রঙে। আতশবাজি ফানুস উড়িয়ে বরণ করা হয়েছে নতুন ২০২২ সালকে।
নানা বিধিনিষেধ রাত ১২টার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে আসেন পুলিশ ও র্যাবের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। তারা জানান, বিধিনিষেধ বা নিরাপত্তার কারণ। ফলে ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আর সংবাদকর্মী ছাড়া কারোরই দেখা মেলেনি।
র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে কোন বাধা নেই। তবে কাউকে বিরক্ত বা বিব্রত করে তা উদযাপন করা যাবে না। আর যদি কেউ থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে নাগরিকদের বিরক্ত ও বিব্রত করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে র্যাব। ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার এবং কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের টহল টিমসহ গোয়েন্দা দল রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা বনানী গুলশান ও বারিধারা এলাকার সম্মানিত নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল রাখতে তাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করব নতুন বছর উদযাপনের যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সবাই সেই সব নির্দেশনা মেনে উদযাপন করবেন। কোন ধরনের খারাপ কাজ বা মাদকাসক্ত হয়ে কোনো ধরনের উশৃংখলতা করলে তা প্রতিরোধ করতে সচেষ্ট রয়েছি।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, নগরবাসীকে আগেই বলা হয়েছিল রাত আটটার মধ্যে ঘরে ফেরার জন্য। কারণ, ছুটির দিনে কারও এত রাতে কাজ থাকার কথা নয়।
তবে ব্যতিক্রম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বছর শুরুর ক্ষণে লোকারণ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী লোক সমাগম কমাতে তৎপর ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
নিষেধাজ্ঞায় উন্মুক্তস্থানে জড়ো হতে না পারলেও ঘরোয়াভাবে ও বাড়ির ছাদে আয়োজন ছিল চোখের পড়ার মতো। আতশবাজি আর ফানুস বা নিজেদের মতো করে নতুন বছররের আনুষ্ঠানিকতা ছিল রাত ১২টার অনেক পরেও।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: