
মোহাম্মদ রুবেল
প্রতিবছর বইমেলায় শিশুদের প্রধান আকর্ষণ শিশুপ্রহর। তবে এবার এ অংশের নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে।
শুক্রবার শিশু চত্বরের উদ্বোধন করা হয়।
শিশু চত্বরে প্রথমবার বাবার হাত ধরে এসেছে শিশু লতিফা করিম। ঘুরে ঘুরে দেখছে শিশুপ্রহর প্রাঙ্গণ।
মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে। শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে শিশুপ্রহর।
সে হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ (শিশু চত্বর) নান্দনিক রূপে সাজানো হয়েছে। শিশু চত্বরের স্টলগুলোতে শিশুদের বই রাখা আছে। সেখানে শিশু প্রকাশ, চলন্তিকা বইঘর, শৈশব, সিসিমপুর, চিলড্রেনস বুক ইত্যাদি স্টল রয়েছে। স্টলগুলোতে রয়েছে শিশুদের বই।
সিসিমপুরের চরিত্রগুলো শিশুদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয়। এবার শিশুদের আনন্দ দিতে স্টেজে হালুম, ইকরি ও টুকটুকি নেই। বই দেখেই আনন্দ নিচ্ছে শিশুরা।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় অভিভাবকদের হাত ধরে মেলায় আসছে শিশুরা। বইয়ের রাজ্যে এসে তারা মহাখুশি।
শিশু রুবাইয়া বলেন, বইমেলায় এসে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক বই দেখেছি। আমার নানু বাড়িতেও এত বই নেই। এখানে অনেক বই। সবগুলো দেখেছি। আর রাজকুমারী ও ভূতের গল্পের বই কিনেছি।
শিশুতোষ প্রকাশনা সংস্থা বাবুইয়ের প্রকাশক কাদের বাবু উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শিশু চত্বরের কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। তবে ছুটির দিনে শিশুরা আসছে, বই দেখছে। এবার সুন্দর মেলা হবে।
শিশু চত্বর ছাড়াও ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই পাঠক দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিল বেশ। অনেকে সকাল থেকেই পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। প্রকাশকদের প্রত্যাশা মেলা জমে উঠবে।
প্রকাশক মিলন কান্তি নাথ বলেন, দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বইমেলার নানা পরিবর্তন দেখেছি। এবারও পরিবর্তন আছে। মেলার আয়োজন এবার ব্যতিক্রম হয়েছে। আশা করছি বইমেলা খুব ভালো হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: