নিউজ ডেস্ক : ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ মোস্তফা বলেন, আমরা অসংগতির কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেছি, এ ও সি ইউনিটে উত্তীর্ণ হওয়া যশোর বোর্ডের ২৭৫ জন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের শেষ ডিজিট গণনা করা হয়নি। আমরা আপডেটেড ডেটা দিয়ে সেই ২৭৫ জনের ফলাফল সংশোধন করেছি। এর মধ্যে ২২৫ জন এ ইউনিটের, বাকি ৫০ জন সি ইউনিটের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের সংশোধিত ফলসহ ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে তিনটি ইউনিটের ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
ফলাফল অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২৬ হাজার ৬০৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১১ হাজার ৫৩৬ জন। ন্যূনতম ৪০ নম্বর না পেয়ে ফেল করেছেন ১৫ হাজার ৭১ জন। অর্থাৎ ‘বি’ ইউনিটে পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ‘বি’ ইউনিট ভর্তি কমিটির কো-অর্ডিনেটর এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক।
এর আগে চবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হলে বড় রকমের অসংগতি ধরা পড়ে। যেখানে যশোর বোর্ডের ২৭৫ জন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের দশমিকের পর শেষ দুই ডিজিটের শেষটি গণনাই করা হয়নি।
এক শিক্ষার্থীর দেয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই অসংগতির প্রমাণ পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল।
এরপরই জরুরি বৈঠক করে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করে নতুন করে ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় ভর্তিসংক্রান্ত কোর কমিটি। এর জন্য আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলামের সঙ্গে সমন্বয় করে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসিম হাসান ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফাকে কাজ করতে বলা হয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা বলেন, আমরা অসংগতির কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেছি, এ ও সি ইউনিটে উত্তীর্ণ হওয়া যশোর বোর্ডের ২৭৫ জন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের শেষ ডিজিট গণনা করা হয়নি। আমরা আপডেটেড ডেটা দিয়ে সেই ২৭৫ জনের ফলাফল সংশোধন করেছি। এর মধ্যে ২২৫ জন এ ইউনিটের, বাকি ৫০ জন সি ইউনিটের।
সংশোধিত ফলাফলে মেরিট লিস্টে ১০ থেকে ২০ পর্যন্ত আগে বা পিছে যেতে পারে। তবে মূল ফলাফল তথা পাস বা ফেলে কোনো তারতম্য হবে না।
ভুলের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘বোর্ড থেকে দ্বিতীয়বার ডেটা নেয়ার পর সেগুলো ওয়েবসাইটে আপডেট করতে গিয়ে বিপত্তিটা হয়েছে। যশোর বোর্ড আমাদের দুই ফরমেটে ডেটা দিয়েছিল। প্রথমবার ডেটা অসম্পূর্ণ ছিল, তাই দ্বিতীয়বার আবার ডেটা নেয়া হয়েছিল। সেটা কনভার্ট করতে গিয়ে সমস্যাটা হয়েছে। এটা টেকনিক্যাল এরর। আমরা সব বোর্ড পুনরায় চেক করেছি।’
অধ্যাপক রাশেদ আরও বলেন, ‘আগের ফলাফল প্রত্যাহার করে নতুন করে সংশোধিত ফলাফল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য। এতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সভাপতিরাও সম্মতি দিয়েছেন। ২ ইউনিটের মেরিট লিস্ট সংশোধন করা হয়েছে, বাকিগুলো ঠিক আছে। এ ছাড়া সামনের বার থেকে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে ওএমআর শিটেও জিপিএ অপশন রাখা হবে, যাতে ক্রসম্যাচ করা যায়।’
‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিট কো-অর্ডিনেটরদের তথ্য অনুযায়ী, ‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষা দেয়া ৩৫ হাজার ৭৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ১৩ হাজার ৫৬৯ জন শিক্ষার্থী; যা শতকরার হিসেবে ৩৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ‘সি’ ইউনিটে পাস করেছে ২ হাজার ২৬৪ জন; যা পরীক্ষায় অংশ নেয়া মোট শিক্ষার্থীর ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফলাফলে গড়বড় হলেও পাস-ফেলে কোনো তারতম্য হয়নি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: