ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: ভৈরবে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুস্পস্বক অর্পণ করেন, ভৈরব উপজলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী সাদিকুর রহমান সবুজ, ভৈরব উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) জুলহাস হোসেন সৌরভ, এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, ভৈরব উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ, উপজেলা মৎস্য অফিসার লতিফুর রহমান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রলয় কুমার সাহা,ভৈরব উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পল্লী নারী নেত্রী মনোয়ারা বেগম এবং ভৈরব নিরাপথ সড়ক চাই ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বকন্ঠ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আলাল উদ্দিন প্রমূখ।
১৪ এপ্রিল ভৈরব গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে ভৈরবের পানাউল্লাহ চর নামক খেয়াঘাটে পাকসেনারা প্রায় ৪'শ নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। এদিন হানাদার বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছিল কয়েকশ। এদিনটি ছিল বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখ। মূলত ৭১ সালের এদিন পাকসেনারা ভৈরব শহরটি দখল করে নেয়। ঘটনার দিন পাক হানাদার বাহিনীর ভয়ে এলাকার প্রায় হাজারও মানুষ পানাউল্লাহ চর খেয়াঘাটে খেয়া পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
এদিন পাকবাহিনীর একটি ছত্রীসেনাদল হেলিকপ্টারে ভৈরবের ছনছারা ও মধ্যেরচর নামক স্থানে নেমে বাজারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় খেয়াঘাটে হাজারও মানুষ একসঙ্গে দেখে ব্রাশ ফায়ার করলে শত শত নিরীহ মানুষ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। নিহত হয় প্রায় ৪ শ ও আহত হয় কয়েকশ।দেশ স্বাধীনের পর ২০০৪ সালে গণহত্যার স্থানে বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও ১৪ এপ্রিল তারিখটি আসলেই এই স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ভৈরববাসীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগণ ও উপজেলা প্রশাসন এবং নিহতের পরিবারগুলি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / সোহানুর রহমান(সোহান)/কেএন
আপনার মতামত লিখুন: