• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ব্যবসায়ীদের কালো ব্যবসা বন্ধের আহবান এফবিসিসিআই'র সভাপতির 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:৩৭ পিএম
ব্যবসায়ীদের কালো ব্যবসা বন্ধ
মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন

ষ্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসায়ীদের প্রতি কালো ব্যবসা' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। 

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারী) মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, পণ্য কেনাবেচার সময় রসিদ না দেওয়া কিংবা এক দামের রসিদ দিয়ে অন্য দাম নেওয়া—এগুলো ব্যবসায়ের কালো অধ্যায়। লাভ করবেন আর কাগজ দেবেন না, এটা হবে না।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগের মধ্যে জসিম উদ্দিন বলেন, নীতিনৈতিকতা নিয়ে ব্যবসা করতে হবে। খারাপ কিছু মানুষ থাকতে পারে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। অল্প কিছু ব্যবসায়ীর এমন আচরণের কারণে পুরো ব্যবসায়ী সমাজের দুর্নাম হয়।

পণ্যের বিভিন্ন পর্যায়ের বিক্রিতে সঠিক দাম উল্লেখ করে রসিদ না দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে এফবিসিসিআই একটি কমিটি গঠন করে কাজ করবে বলে সভায় ঘোষণা দেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান প্রমুখ। এ ছাড়া মেঘনা, সিটি, টিকেসহ বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন খাতের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

সভায় পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা বেসরকারি মিলগুলো থেকে সরকার-নির্ধারিত ক্রয়মূল্যে পরিশোধিত চিনি ও খোলা সয়াবিন তেল কিনতে পারেন না। যে দামে কেনেন, তার সঠিক রসিদও মিলগুলো দেয় না। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাদের সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়। কিন্তু কেউ দামের রসিদ চাইলে তাঁরা দেখাতে পারেন না।

বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হাশেম বলেন, চিনির দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে তা আমরা জানি না। আবার সরকারনির্ধারিত মূল্যে আমরা মিল থেকে কিনতেও পারি না। এতে বাধ্য হয়ে বাজারে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করেন অনেকে। তখন আবার জরিমানা গুনতে হয়। এ সমস্যার সমাধানে উৎপাদন (মিল), পাইকারি ও খুচরা—তিন পর্যায়েই দাম সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার দাবি জানান এ পাইকারি বিক্রেতা।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, মিলগুলো রসিদ দেয়, এ কথা ঠিক। তবে সরকারনির্ধারিত মূল্যের রসিদ দেয় না। বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলেন, মিলগুলো আমাদের রসিদ দিচ্ছে এক দরে, আর টাকা নিচ্ছে অন্য দরে। এসব সত্য কথা বলার জন্য আবার আমাদের মিলগেটে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

মিলগুলোর প্রতিনিধিরা বলেন, আপনারা রসিদ (ইনভয়েস) না পেলে পণ্য কিনবেন না। এর উত্তরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রশ্নটা রসিদ পাওয়া নিয়ে নয়, নির্ধারিত মূল্যের রসিদ পাচ্ছি কি না, সেটাই দেখার বিষয়। 

মিল প্রতিনিধিদের একজন বলেন, তাহলে আপনি আমাদের থেকে পণ্য নিয়েন না।

জসিম উদ্দিন বলেন, অন্তত এ বছর রোজায় দাম বাড়ানো হবে না, এই অভ্যাসটা শুরু করি। বরং পারলে দাম কিছুটা কমাব। রমজান মাস এলে দাম বাড়ে, এই বদনাম থেকে বের হতে চাই।

সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে কথা বলে জেনেছি, রমজান ও পরবর্তী এক-দুই মাসের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ রয়েছে। সুতরাং সরবরাহের ঘাটতির কারণে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image