বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জ পীরোত্তর ওয়াকফ এস্টেটের প্রায় ৭ একর জমির মোতওয়ালী নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে । সে সঙ্গে বেশ কিছু জমি বে-দখলে যাওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়েছে । ঘটেছে মারামারী ঘটনাও । ঘটনাটি উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের পত্নীচড়া মৌজায়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উক্ত মৌজায় প্রয়াত বড়পীর সাহেবের ৬ একর ৭০ শতাংশ জমি রয়েছে । যা ওয়াকফ এস্টেটের নথিতে পীরত্তোর নামে তালিকা ভুক্ত । এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্য্যালয় থেকে উক্ত সম্পত্তি তত্বাবধনের জন্য উপজেলার পত্নীচড়া গ্রামের মৃত্য আব্দুল গফুর মিয়ার পুত্র মোস্তাফিজার রহমান রেজাকে মোতওয়াল্লী/সেক্রেটারি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয় । যার নং- পীরোত্তর বড় পীর সাহেব ওয়াকফ এস্টেট- রং, ইসি নং- ১৯২৫৭ । মোস্তাফিজুর রহমান রেজা উক্ত সম্পত্তি তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্তির পর পর্যায়ক্রমে রংপুর আদালতে একাধিক মামলা দায়েরের পর বে-দখলে থাকা বেশ কিছু জমি তাদের নিয়ন্ত্রনে নিতে সক্ষম হন । এখনও কিছু পরিমান জমি বে-দখলে রয়েছে । ইতিমধ্যে ২০২২-২৩ ইং সাল পর্যন্ত উল্লেখিত জমির ওয়াকফ চাঁদাও পরিশোধ করা হয়েছে।
একই গ্রামের মৃত্য মোস্তাফিজুর রহমানের পুত্র রায়হান মিয়া গত ৭ আগস্ট'২২ ইং বর্তমান কমিটিকে অবৈধ দাবি করে ঢাকাস্থ ওয়াকফ কার্যালয়ে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক একটি কমিটি জমা দেন । সে সঙ্গে রায়হান মিয়া ও তার লোকজন ওয়াকফ এস্টেটের জমিও দখলের পাঁয়তারা করছেন।
এদিকে গত ০৫ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ওয়াকফ হিসাব নিরীক্ষক নুরুজ্জামান মিয়া এ বিষয়ে তদন্ত করেন । তদন্তের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে বর্তমান কমিটির মোতোয়াল্লী মোস্তাফিজুর রহমান রেজা ও তার পুত্র ফাহিম সরকারকে প্রতিপক্ষ রায়হান মিয়া ও তার লোকজন এলোপাথারী প্রহার করে এবং ফাহিমের সঙ্গে থাকা ওয়াকফ এস্টেটের কাগজপত্রের ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা পিতা-পুত্রকে আহতাবস্থায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় । এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের ওয়াকফ হিসাব নিরীক্ষক নুরুজ্জামান মিয়া তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তদন্তে দু'পক্ষের অভিযোগ শুনেছি। ওয়াকফ এস্টেটের জমির খোঁজ খবর নিয়েছি। চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক লোকের সমাগম, থামানো ছিল মুশকিল। তাই আমরা দ্রত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: