নিউজ ডেস্ক : ডিসেম্বরেই উদ্বোধন হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ নদীর নিচ দিয়ে যানবাহন চলাচলের পথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। ইতোমধ্যে ৮৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত দৃশ্যমান হয়ে উঠছে টানেলের দুটি টিউবের ভেতরের সড়কের কাজ। টানেলকেন্দ্রিক সংযোগ সড়কের কাজও শেষপর্যায়ে।
তবে টানেল নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা না হলে টানেলের মুখে যানজটের আশঙ্কা করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান।
তিনি বলেন, এখন যে ট্রাফিক আছে তার থেকে আরও বহুগুণ ট্রাফিক বেড়ে যাবে। টানেলের মুখে যে সংযোগ সড়ক আছে; সেটাকে অবশই আমাদের ঢেলে সাজাতে হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৃশ্যমান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজের অবকাঠামোগত স্থাপনা। এক প্রান্তের আলোর রশ্মি গিয়ে মিলছে অন্য প্রান্তের আলোর সঙ্গে। কাজের অগ্রগতি অনুসারে চলতি বছরের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এশিয়ার দীর্ঘতম টানেল প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দৃশ্যমান কর্নফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেলের ভেতরের সড়ক। বর্তমানে টানেলের ভেতর তৈরি করা হচ্ছে পিচঢালা পথ। দুই টিউবের মধ্যে লেন স্ল্যাব লাগানোসহ অভ্যন্তরীণ স্ট্র্যাকচারের কাজ চলছে। সেই সঙ্গে টিউব দুটির মাধ্যমে আন্তঃসংযোগ ও সড়ক নির্মাণের কাজও অনেকটা শেষপর্যায়ে। সমানতালে চলছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও জেনারেটর স্থাপন, বাতাস ও অক্সিজেন সরবরাহের প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ। এ ছাড়া টিউব দুটিতে মোট ১৯ হাজার ৬১৬টি সেগমেন্ট প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, শুধু টানেলের ভেতরের কাজ নয়, মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে থাকা ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজও অনেকটা শেষের দিকে। ডিসেম্বরের মধ্যে টানেল উদ্বোধনের আশা প্রকল্প পরিচালকের।
এদিকে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের অপেক্ষায় পতেঙ্গা পাড়ের মানুষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: