
মো. জাহেদুল ইসলাম, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি: বাকেরগঞ্জে উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় চলছে।
এ বিষয় বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবকদের পক্ষে ফারুক আলম খান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের মহা পরিচালক বরাবর গত ১৩ /৯/২০২২ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া ও স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রশাসনকে অবহিত করলে তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৪/১০/২০২২ইং তারিখে উপ সচিব সোনা মনি চাকমা স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলারে বিষয় টি দ্রুত তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন।
তথ্য সূত্রে জানা যায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয় মহামান্য হাইকোর্টে একটা অভিযোগ আছে যার মামলা নং ৪৬৬৭/২০২২ বিষয় টি গোপন করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগের ছাড়পত্র এনে মোটা অংকের লেনদেন বিনিময়ে একক ভাবে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার নিজেস্ব লোকজন নিয়োগ দেন। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় বিজ্ঞাপন কিবা প্রচারণার বিষয়ে নেওয়া হয়েছে চরম গোপনীয়তার আশ্রায়। এ বিষয় প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তাঁকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত পাওয়া যায়নি, মুঠোফোনে বিষয় টি অস্বীকার করেন। এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকমল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন।
প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয় অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে ঘটনার বিষয় সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দৈনিক মুক্ত খবর ও অগ্রযাত্রা প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলামকে জানান। এছাড়াও বিদ্যালয়ে নিয়মিত অনুপস্থিতি, ছাত্রদের নিকট থেকে কারণে অকারনে বিভিন্ন অযুহাতে জিন্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ও অভিযোগ রয়েছে উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এসব অনিয়মের বিষয় প্রকাশ হলে এলাকায় চরম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে ফুঁসে ওঠতে শুরু করেন অভিভাবক ও সাধারণ মানুষ। এলাকার সচেতন মহল যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: