নিউজ ডেস্ক : দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা মাটির সঠিক ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত দুর্বল ভূমিকা পালন করছেন বলেছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অধিক ফসলের জন্য সার ব্যবহার করছেন, সেটার জন্য মাটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটির স্বাস্থ্য ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে।
সোমবার রাজধানীর কেআইবি মিলনায়তনে সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, মাটির স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেগুলো ভালো ফল দেবে না। আবার ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সারও লাগবে। সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সবকিছুর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সেদিক থেকে আমাদের বিজ্ঞানীরা খুবই দুর্বল।
তিনি আরও বলেন, কৃষি বিজ্ঞানীদের আরো গবেষণা করা প্রয়োজন। নতুন নতুন প্রযুক্তির জন্য মাটির কী ধরনের ক্ষতি হচ্ছে সেই ধারণা নিন। কয়েক বছর আগে নতুন প্রযুক্তি ভার্মিকম্পোস্ট এসেছে। আমি অনেক বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেছি এতে নাইট্রোজেনের মাত্রা কত? তারা জানেন না। সেটা দুঃখজনক। আপনাদের উঁচু মানের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যারা কৃষিবিদ হচ্ছেন তাদেরও দুর্বলতা রয়েছে। মাঠের সঙ্গে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কোনো সম্পর্ক নেই। হাতে-কলমে শিক্ষা নিতে হবে। এত বড় বড় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু একটিরও পোল্ট্রি খামার-ডেইরি ফার্ম নেই। তাহলে শিক্ষার্থীরা শিখবে কিভাবে? কিন্তু বেসরকারি খাত কত বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে। সেখানে গিয়ে তারা কিভাবে সহায়তা দেবে?
কৃষিমন্ত্রী বলেন, জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করি। অন্য সম্পদ আমাদের নেই। এখনো অনেক খাদ্য বিদেশ থেকে আনি। সবকিছু অনেক চ্যালেঞ্জ। সত্যিকার অর্থে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে আমাদের আরো কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরির প্রতি বেশি আকৃষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই বিসিএসের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কয়েকটি নোট পড়ে কোনোভাবে ডিগ্রি নিয়ে আসছে তারা। আমি বলছি না সবাই সেটা করছে, তবে অধিকাংশই করছে। সবাই সরকারি চাকরি নিতে ব্যস্ত। মানে মাস গেলেই বেতন। তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। কোনো কাজ নেই। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার প্রমুখ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: