
নিউজ ডেস্ক: মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি না থাকায় সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো হাওরে সংকট দূর হয়নি। কয়েকটি স্থানে বাঁধে ফাটল ও ধস দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, ’কৃষকেরা এখন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পর করছে। এ পর্যন্ত হাওরে ৭১ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। কিন্তু ভাটিতে পানি টানছে না বলে হাওর রক্ষা বাঁধগুলো ঝুঁকির মধ্যেই আছে। এতে শঙ্কা ও উদ্বেগে সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে বাঁধ রক্ষায় তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার জেলার কয়েকটি স্থানে বাঁধে ফাটল ও ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলো মেরামত চলছে। অন্যদিকে কোনো কোনো হাওরে কাচা-ধান কাটা হলেও অনেক হওরে ধান রয়েছে।
ঈদে যানজট কমাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেঈদে যানজট কমাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে
তাহিরপুরের মাঠিয়ান হাওর, শান্তিগঞ্জের খাইর হাওর এবং শাল্লার উপজেলার ছায়ার হাওরের বাঁধের মাটি ধসে গেছে। মাঠিয়ান হাওর রক্ষা বাঁধের ৪৭ ও ৫২ নম্বর পিআইসিতে ধস নামলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম পাইলিং করে মাটির বস্তা ফেলে হাওর রক্ষার চেষ্টা চালান। ৩ হাজার হেক্টরের মাঠিয়ান হাওরে এখনো অর্ধেক ধান পাকেনি।
অন্যদিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার খাইর হাওরের ২৩ নম্বর পিআইসিতে শুক্রবার থেকে ধস শুরু হয়। শাল্লা উপজেলার সাড়ে ৪ হাজার হেক্টরের ছায়ার হাওর রক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার ঘোস্বামী বলেন, পানি এখন নিচের দিকে নামছে। কিন্তু পানি বের না হওয়ায় শাল্লা, দিরাই, শান্তিগঞ্জ, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মাপাশায় নির্মিত মাটির বাঁধগুলো নরম হয়ে অনেক স্থানে ধসে পড়ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র জানান, শনিবার পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। ধান কাটার হার ৭১ ভাগ। তবে এই হিসাব সম্পর্কে দ্বিমত করেছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: