• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সাই ইং-ওয়েন ও কেভিন ম্যাকার্থির রুদ্ধদ্বার বৈঠক


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:১৬ এএম
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রে
সাই ইং-ওয়েন ও কেভিন ম্যাকার্থি

নিউজ ডেস্ক:   তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে বুধবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, তার দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তিনি তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্টের অব্যাহত সমর্থন চান।উত্তরে ম্যাকার্থি বলেন, তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

তিন দশকের বেশি সময় পর প্রথম কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন।

এই বৈঠকে ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘আমেরিকার অন্যতম বন্ধু’ আখ্যা দেন। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি।

দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ঐক্য দরকার- উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে সাই ইং ওয়েন বলেন, যখন আমরা একসঙ্গে থাকি তখন আরও শক্তিশালী হই।

এদিকে সাই ইং ওয়েন-এর এই বৈঠকে ক্ষুব্ধ চীন। গুয়াতেমালা ও বেলিজ সফরকালে তার নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া হয়ে ট্রানজিট নেওয়ার খবরে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। এই ট্রানজিট পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ইঙ্গিত করে- সফর শুরুর আগেই চীন এ হুঁশিয়ারি দেয়।

বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা সাই ও ম্যাকার্থির মধ্যে যেকোনো বৈঠকের ‘পুরোপুরি বিরোধী’। এ বৈঠক ‘প্রতিহত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ’ নেওয়া হবে। মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে দেখা করলে চীন ‘দৃঢ়ভাবে লড়াই করার’ হুমকিও দেয়।

চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিসের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে সাই-এর এই ট্রানজিট মূলত মার্কিন কর্মকর্তা এবং আইন প্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। তিনি যদি মার্কিন হাউসের স্পিকার ম্যাকার্থির সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সেটি হবে আরেকটি উস্কানি, যা এক-চীন নীতিকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে, চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার ক্ষতি করে এবং তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। আমরা দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করি। অবশ্যই দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াইয়ের ব্যবস্থা নেব।

উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে চীন বারবার সতর্ক করেছে সাইয়ের সঙ্গে দেখা না করার।

অন্যদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের এই ট্রানজিট খুবই স্বাভাবিক ও নিয়মিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে একে ইস্যু করা উচিত নয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image